এগিয়েছে ভারত, SIM কার্ড ছাড়াই বিন্দাস Call হবে, চলবে ইন্টারনেটও! শুধু কাজে লাগান এই কৌশলটি
সময়ের সাথে মানবজীবনে অনেক নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে, ফলে বদল আসছে রোজনামচাতেও। কিন্তু ধরুন দেখতে দেখতে জীবনে এতটাই...সময়ের সাথে মানবজীবনে অনেক নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে, ফলে বদল আসছে রোজনামচাতেও। কিন্তু ধরুন দেখতে দেখতে জীবনে এতটাই আধুনিকতা এল, যাতে করে ফোনে সিম কার্ড ইন্সটল না করেই (পড়ুন না লাগিয়ে) কলিং, মেসেজ এবং মোবাইল ডেটার মতো সব সুবিধা পাওয়া যায়, তাহলে কেমন হবে? এমনটা বর্তমানে অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়, বরঞ্চ eSIM টেকনোলজি কাজে লাগিয়ে আপনি ফিজিক্যাল সিম কার্ড ছাড়াই যাবতীয় পরিষেবা পেতে পারেন। হালফিলে ভারতে Reliance Jio এবং Bharti Airtel ছাড়াও, Vodafone Idea বা Vi, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানিও তার ব্যবহারকারীদের eSIM-এর বিকল্পও দিচ্ছে – রাজধানী নয়াদিল্লির বাসিন্দারা সম্প্রতি এই সুবিধা কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছেন। সেক্ষেত্রে আপনিও চাইলে নিজের বিদ্যমান সিমকে eSIM-এ রূপান্তর করতেই পারেন। এর নানাবিধ ফায়দাও আছে।
কীভাবে eSIM ব্যবহার করবেন?
ই-সিম ব্যবহার করতে ফোনে কোনো ফিজিক্যাল সিম কার্ড ঢোকানোর দরকার নেই, এর জন্য ফোনের সেটিংসে গিয়ে বা কোড স্ক্যান করলেই পরিষেবা সক্রিয় হয়ে যাবে। সুবিধা বলতে, এই বিশেষ ধরণের সিম ব্যবহারে একটি ফোন থেকে অন্য ফোনে একটি ফিজিক্যাল সিম কার্ড সরানোর ঝামেলা থাকবেনা। আর যেহেতু এর সমস্ত কাজকর্ম ভার্চুয়ালি হবে, তাই ফোন চুরি গেলে বা হারিয়ে গেলেও সিম কার্ড বেহাত হওয়া বা ফোন থেকে অপসৃত হওয়ার ঝামেলা নেই; এমনকি এর মাধ্যমে খোওয়া যাওয়া ডিভাইসও সহজে ট্র্যাক করা যাবে। শুধু তাই নয়, এই ই-সিমকে পরিবেশের জন্যও ভালো বলা হচ্ছে কারণ এর মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জ্য কমানো যাবে।
eSIM নেওয়ার উপায়
যদি আপনার এলাকায় কোনো টেলিকম কোম্পানির ই-সিম সুবিধা পাওয়া যায় এবং সেটির পরিষেবা সক্রিয় করতে চান, তাহলে তার জন্য শারীরিকভাবে কোনো দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই৷ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনাকে কোম্পানির হেল্পলাইনে কল করে ই-সিম পাওয়ার প্রক্রিয়াটি জানতে হবে৷ সাধারণত, আপনার ইমেইল আইডিতে একটি কিউআর (QR) কোড আসবে, যা স্ক্যান করে সিমটি সক্রিয় করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে যে, এই কোডটি 7 দিনের জন্য বৈধ এবং এটি স্ক্যান করার পরে নম্বর প্রায় 30 মিনিটের মধ্যে সক্রিয় হয়ে যাবে।
এই সমস্ত স্মার্টফোনে মিলবে eSIM সাপোর্ট
- Apple iPhone-এর ক্ষেত্রে iPhone XR এবং তারপর লঞ্চ হওয়া সমস্ত মডেল।
- Google ডিভাইসের ক্ষেত্রে Pixel 3 এবং তারপর লঞ্চ হওয়া সমস্ত মডেল।
- Vivo ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে Vivo X90 Pro।
- Motorola ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে Motorola Razr, Motorola Next Gen Razr এবং Motorola Edge 40।
- Nokia ডিভাইসের ক্ষেত্রে Nokia G60 ও Nokia X30।
- Samsung ডিভাইসের ক্ষেত্রে Galaxy Z Flip, Galaxy Fold, Galaxy Note 20 Ultra, Galaxy Note 20, Galaxy Z Fold 2, Galaxy S21 এবং এর পরে লঞ্চ হওয়া সমস্ত প্রিমিয়াম মডেল৷