5G ফোন কিনেও মিলছে না হাইস্পিড নেটওয়ার্ক? আগামীকাল সরকার নেবে বড় সিদ্ধান্ত
বহু অপেক্ষা, জল্পনা-কল্পনার পর এই মাসের শুরুতে দেশের কয়েকটি প্রধান শহরে 5G নেটওয়ার্ক চালু করেছে শীর্ষস্থানীয় দুই...বহু অপেক্ষা, জল্পনা-কল্পনার পর এই মাসের শুরুতে দেশের কয়েকটি প্রধান শহরে 5G নেটওয়ার্ক চালু করেছে শীর্ষস্থানীয় দুই টেলিকম সংস্থা Jio এবং Airtel। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে যে, লঞ্চের পরেও বহু ইউজারদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে আসছেনা। 5G সার্ভিসযুক্ত শহরে বসবাস করা বা হাতে 5G সাপোর্টেড ফোন (Apple, Samsung এবং অন্যান্য ব্র্যান্ডের ফোন) থাকা সত্ত্বেও একাংশই এই অসুবিধার মুখে পড়ছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ঠিক কবে এবং কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে তার স্পষ্ট উত্তর মিলছে না। তবে শোনা যাচ্ছে যে, এবার বিষয়টিতে কেন্দ্র সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে। তাহলে কি আশার আলো দেখতে চলেছেন এই ধরণের স্মার্টফোন ইউজাররা?
সফ্টওয়্যার আপডেটের অপেক্ষায় রয়েছেন বহু মানুষ
৫জি প্রযুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে উপলব্ধ হওয়ার বহু আগে থেকেই এদেশে রমরমিয়ে বিক্রি হয়েছে নতুন কানেক্টিভিটিযুক্ত স্মার্টফোন। কিন্তু বিক্রি হওয়া সমস্ত ৫জি ফোনেই যে এই নেটওয়ার্ক পরিষেবা ব্যবহার করা যাচ্ছে তা নয়। কারণ এই ধরণের একাংশ ফোনে (এমনকি বেশিরভাগ স্যামসাং এবং অ্যাপল আইফোনে) জিও বা এয়ারটেলের ৫জি নেটওয়ার্ক সমর্থিত প্রয়োজনীয় ব্যান্ড নেই নতুবা এগুলিতে কোনো সফ্টওয়্যার আপডেটের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বহু স্মার্টফোন নির্মাতা তাদের ডিভাইসে সফ্টওয়্যার আপডেট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, যার ফলে সেগুলির ইউজাররা ৫জি পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবে।
বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে চলেছে সরকারও
এখন, ভারত সরকারও এই সমস্যাটিতে গুরুত্ব সহকারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের টেলিকম এবং আইটি (IT) বিভাগের শীর্ষ আমলারা আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার একটি বৈঠকে বসতে চলেছেন। এই বৈঠকে অ্যাপল, স্যামসাং, ভিভো এবং শাওমি ছাড়াও দেশীয় মোবাইল কোম্পানিগুলি অংশ নেবে; উপস্থিত থাকবে টেলিকম অপারেটর রিলায়েন্স, এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়াও। আর সেখানেই স্মার্টফোন কোম্পানিগুলিকে উক্ত ৫জি সমস্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেক্ষেত্রে আশা করা যায় যে, এই সরকারি বৈঠক থেকেই কোনো না কোনো সমাধান পাবেন সাধারণ মানুষ।
তবে জানিয়ে রাখি যে, টেলিকম সংস্থাগুলি বা অ্যাপল, স্যামসাং, ভিভো, শাওমির মত ব্র্যান্ডগুলিও এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি। এমনকি এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু যেহেতু ৫জির জন্য ভারত অন্যতম বড় বাজার, সেক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই উক্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে।