ভারতের বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর Reliance Jio এবার সমগ্র বিশ্বে নিজেদের প্রসার ঘটাতে চাইছে। তবে এটি সংস্থার কোনো নতুন পরিকল্পনা নয়। কারণ, বেশ কিছুদিন আগে জিও শ্রীলঙ্কার একটি টেলিকম অপারেটরের সাথে অংশীদারিত্বের জন্য আবেদন করেছিল বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এখন একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, রিলায়েন্স জিও সমগ্র বিশ্বে নিজেদের প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার জন্য কনজিউমার এবং এন্টারপ্রাইজেস উভয়ের জন্যই প্রোডাক্টের একটি তালিকা তৈরি করেছে। যার মধ্যে আইওটি, (ইন্টারনেট অফ থিংস) প্রোডাক্ট এবং টেলিকম রেডিও সহ আরো বেশ কিছু জিনিস রয়েছে।
বর্তমানে Jio রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের অধীনে রয়েছে, তবে ভবিষ্যতে সংস্থাটি ভারতীয় স্টক মার্কেটে একটি পৃথক সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরিকল্পনাও শুরু করেছে। আর রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্টিস লিমিটেড বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জিওর প্রোডাক্ট বিক্রি আগামী বছরে শক্তিশালী এবং ধারাবাহিক শেয়ার হোল্ডারদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
এদিকে জিও তার বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছে, তারা ১০০০টিরও বেশি পেটেন্ট দাখিল করেছে। আর ২০২৪ অর্থবর্ষে তাদের ১০০ টির বেশি পেটেন্ট গ্রান্টেড হয়েছে। এই পেটেন্টগুলি ৬জি, ৫জি, এআই, এলএলএম, ডিপ লার্নিং, বিগ ডেটা, ডিভাইস, এলওটি এবং এনবি-এলওটি প্রোডাক্টের জন্য করা হয়েছে।
জানিয়ে রাখি, রিলায়েন্স জিও তাদের নিজস্ব এআই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও কাজ শুরু করছে। আর ইতিমধ্যেই তারা জিও ট্রান্সলেট সহ বেশ কিছু ফিচারও লঞ্চ করেছে। উল্লেখ্য, সংস্থাটি গত বছর আইএমসি অর্থাৎ ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেস ২০২৪-এ জিও ট্রান্সলেট-এর কার্যকারিতাও প্রদর্শন করেছিল।
জানিয়ে রাখি, জিওর দেশীয়ভাবে তৈরি করা ৫জি স্ট্যাকগুলি এখন জিওর নেটওয়ার্কগুলিতে ৩০ শতাংশ ডেটা ট্রাফিক পরিচালনা করছে। আর জিও আশা করছে যে, যত বেশি গ্রাহক ৫জি ডিভাইস ব্যবহার করবে এবং এই টেলিকম অপারেটরের ৫জি প্রিপেড প্ল্যান রিচার্জ করবে, তাদের ডেটা ট্রাফিক আরো বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া, জিও সাশ্রয়ী মূল্যে একটি ৪জি ফিচার ফোনও লঞ্চ করেছে। সংস্থার মতে, বর্তমানে এটি কেবল ভারতের বাজারেই উপলব্ধ হলেও ভবিষ্যতে আফ্রিকার মতন উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও এর ব্যাপক চাহিদা দেখা দিতে পারে।