কাস্টমারদের ভালো চায় Jio, বাধ সাধছে Airtel ও Vi? যত ঝামেলা 100 টাকার MNP প্ল্যানে
ভারতের বাজারে পা রাখার পর থেকেই Bharti Airtel, Vodafone-এর মতো পুরোনো কোম্পানিগুলির ঘুম উড়িয়েছে Reliance Jio। অন্যদের...ভারতের বাজারে পা রাখার পর থেকেই Bharti Airtel, Vodafone-এর মতো পুরোনো কোম্পানিগুলির ঘুম উড়িয়েছে Reliance Jio। অন্যদের তুলনায় তারা গ্রাহকদের বেশি সুবিধা দিয়ে আসছে, তাও আবার কম খরচে। কিন্তু এবার মুকেশ আম্বানির সংস্থাটির এই ইতিবাচক মনোভাবই তাদের জন্য ব্যবসায়িক জটিলতা সৃষ্টি করেছে বলে মনে হচ্ছে। আসলে, Jio, সম্প্রতি ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি বডি TRAI (টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)-এর সামনে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (MNP) সম্বন্ধে একটি নতুন পরিকল্পনা পেশ করেছিল, যেখানে পোস্টপেইড কানেকশনে ১০০ টাকা বিল বকেয়া থাকলেও MNP-র বা কানেকশন পোর্টের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। নিঃসন্দেহে এই পরিবর্তন কার্যকরী হলে গ্রাহকরা ভীষণ উপকৃত হতেন, কিন্তু Jio-র এই প্রস্তাবে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে Airtel ও Vodafone Idea (Vi)।
কী বলছে Jio-র প্রতিদ্বন্দ্বীরা?
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, পোস্টপেইড ইউজারদের বিল বা বকেয়ার পরিমাণ ১০ টাকা অথবা তারও বেশি হলে টেলিকম কোম্পানিগুলি তাদের মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটির অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করতে পারে। যদি বকেয়া ব্যালেন্স ১০ টাকার কম হয়, তাহলে নম্বর পোর্ট করার ক্ষেত্রে কোনো চাপ নেই। সেক্ষেত্রে সাম্প্রতিক প্রস্তাবে জিও, বিল লিমিট বাড়িয়ে ১০০ টাকা বকেয়াতে নম্বর পোর্ট তথা এমএনপি সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছে।
ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, রিলায়েন্স জিও, ট্রাই-এর কাছে 'ড্রাফট্ টেলিকমিউনিকেশন মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (নবম সংশোধন) রেগুলেশন' পেশ করে এই নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু ট্রাই কর্তৃপক্ষ কিছু বলার আগেই, জিওর এই প্রস্তাবে মতানৈক্য প্রকাশ করেছে এয়ারটেল এবং জিও।
এক্ষেত্রে এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়া বলছে যে, যদি মোবাইল নম্বর পোর্ট করার জন্য বকেয়া ডিসকাউন্ট ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়, তবে এটি টেলিকম অপারেটরগুলির আয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে তাদের রেভেনিউ তো কমবেই, অন্যদিকে গ্রাহকদের মধ্যে বহির্গামীতা অর্থাৎ কানেকশন প্রোভাইডার পাল্টানোর একটা প্রবণতা দেখা যেতে পারে, এমনকি তাদের ওপর ঋণের বোঝা বাড়তে পারে। যদিও জিও যুক্তি দিয়েছে, হাই নন-পেমেন্ট ডিসকানেকশন (NPD) লিমিট হলে বা এমএনপি লিমিট ১০০ টাকা হলেই পোস্টপেইড গ্রাহকরা উপকৃত হবেন, কারণ বর্তমান প্রক্রিয়াটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। সব মিলিয়ে এই জটিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ট্রাই কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার…