এবার ট্যারিফ শুল্ক সম্পর্কে গ্রাহকদের মনোভাব জানতে একটি সমীক্ষা করতে চলেছে TRAI
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মোবাইল রিচার্জের খরচ বেড়েই চলেছে, স্বাভাবিকভাবেই মূল্যবৃদ্ধির এই জমানায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন...সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মোবাইল রিচার্জের খরচ বেড়েই চলেছে, স্বাভাবিকভাবেই মূল্যবৃদ্ধির এই জমানায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। সেক্ষেত্রে বাজারে, বিভিন্ন মূল্যে উপলব্ধ রিচার্জ ট্যারিফ সম্বন্ধে গ্রাহকদের মনোভাব টের পেতে এবার ওয়্যারলাইন ও ওয়্যারলেস উভয় রকমের নেটওয়ার্ক ইউজারদের মধ্যে বিশেষ সমীক্ষা চালাতে চলেছে কেন্দ্রীয় টেলিকম নিয়ামক সংস্থা TRAI (ট্রাই বা টেলিকম রেগুলেটারি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)। আগামী সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে, নির্বাচিত একাধিক লাইসেন্সড সার্ভিস এরিয়ায় (LSA) এই সমীক্ষাটি চালানো হবে যেখানে অনলাইন-অফলাইন দুটি মাধ্যমেই এই গ্রাহকদের মতামত গৃহীত হবে। এজন্য TRAI-এর তরফ থেকে AMS (এএমএস) বা অ্যাকাডেমি অফ ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ নামক নয়া দিল্লি ভিত্তিক এক সমীক্ষাকারী সংস্থাকেও নিয়োগ করা হয়েছে।
এই সমস্ত জায়গায় চলবে সমীক্ষা
জানিয়ে রাখি, আলোচ্য সমীক্ষা চালানোর জন্য ট্রাই মোট চারটি এলএসএ-কে (LSA) বেছে নিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে বিহার, দিল্লি, গুজরাত এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। মূলত এই সমীক্ষা মোট তিনটি স্তরে সম্পন্ন হবে বলেও সামনে এসেছে। তবে আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গ বা দেশের অন্যান্য জায়গার মানুষজনের মতামত জানবে কিনা – সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
যাইহোক, বোঝাই যাচ্ছে যে কনজিউমার বা উপভোক্তার সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই টেলিকম নিয়ামক সংস্থা আলোচ্য সমীক্ষার আয়োজন করতে চলেছে। সেক্ষেত্রে শুধু গ্রাহকদের জন্য নয়, টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারীদের জন্যও এই সমীক্ষা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হতে পারে। উল্লেখ্য, ট্রাইয়ের ত্রিস্তরীয় এই সমীক্ষার প্রথম ধাপে বিভিন্ন মূল্যে উপলব্ধ ট্যারিফ অফার সম্পর্কে গ্রাহকের মনোভাব যাচাই করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে কনজিউমার প্রোটেকশন সম্পর্কিত বিদ্যমান রেগুলেটরি বিধিব্যবস্থাগুলির ব্যাপারে সচেতনতা ঠিক কতদূর প্রসারিত, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর, তৃতীয় অর্থাৎ শেষ ধাপে টেলকোগুলির অফার ও বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রে ট্রান্সপারেন্সি ফ্রেমওয়ার্কের ভূমিকা বর্তমানে ঠিক কতটা কার্যকর – তা বিচার করা হবে।
আগেও বলেছি যে, ট্রাইয়ের নতুন সমীক্ষা ইউজারদের পাশাপাশি টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারীদের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এর ফলে টেলিকম নিয়ামক সংস্থার পক্ষে টেলকোদের জন্য উন্নত রেগুলেটরি ব্যবস্থা গড়ে তোলা সহজ হবে। সাথে ইউজারেরা কী ধরনের পরিষেবা চাইছেন, তা বুঝতেও সাহায্য করবে আলোচ্য সমীক্ষা। সর্বোপরি গ্রাহকেরা যাতে নিজেদের প্রতারিত মনে না করেন, নয়া সমীক্ষা মারফত TRAI সেটাই নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালাবে।