বন্ধ হয়নি স্প্যাম কল, এসএমএস: Jio, Airtel-দের এবার দিতে হবে ৩৫ কোটি টাকার জরিমানা
সেই কী-প্যাড মোবাইল ব্যবহারের সময় থেকেই সাধারণ মানুষ টেলিমার্কেটিং সংক্রান্ত কিংবা প্রচারমূলক কল বা মেসেজের কারণে...সেই কী-প্যাড মোবাইল ব্যবহারের সময় থেকেই সাধারণ মানুষ টেলিমার্কেটিং সংক্রান্ত কিংবা প্রচারমূলক কল বা মেসেজের কারণে বিরক্ত। স্মার্টফোনের যুগ এলেও এই ছবির তেমন একটা বদল দেখেননি অনেকেই। যদিও ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সরকার দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। এর আগে কেন্দ্রের তরফে টেলিকম সংস্থাগুলিকে অবাঞ্ছিত কল এবং মেসেজ আটকাতে বলা হয়েছিল – এমনকি স্প্যাম কল, এসএমএসের জন্য জারি হয়েছিল নতুন নিয়মও। সেক্ষেত্রে এবার টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা TRAI এই বিষয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। নিয়ন্ত্রক, তাদের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রাহকদের কাছে অবাঞ্ছিত কল এবং মেসেজ আসার বিষয়টি রোধ করতে না পারার ব্যর্থতার দরুন সম্প্রতি টেলিকম সংস্থাগুলিকে ৩৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, সংসদে লিখিত আকারে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সরকারি নির্দেশ হয়নি কার্যকরী
উল্লেখ্য, ট্রাই, দেশের সমস্ত নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডারকে দুই মাসের মধ্যে একটি ইউনিফাইড ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে গ্রাহকরা প্রচারমূলক (promotional) কল এবং মেসেজগুলি সম্পর্কে আগ্রহী এবং তারা এর সুবিধা পেতে চান কিনা তার একটি নির্দিষ্ট বিকল্প থাকবে। এছাড়াও, গত মে মাসের ১ তারিখে বিভাগের তরফে টেলিকম সংস্থাগুলিকে এক মাসের মধ্যে তাদের নেটওয়ার্কগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এআই (AI) ভিত্তিক স্প্যাম ফিল্টার (AIML) ইনস্টল করার নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা গেছে যে, এত কিছু সত্ত্বেও বিগত দুই মাসে অবাঞ্ছিত কলের সংখ্যা কমেনি।
এমতাবস্থায় বিভিন্ন টেলকো, নিজের পরিচালিত নেটওয়ার্কে রেজিস্টার্ড টেলিমার্কেটরদের অযাচিত বাণিজ্যিক যোগাযোগ (Commercial communication) রোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাই তথা কেন্দ্রের তরফে ৩৪.৯৯ কোটি টাকার জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের রিপোর্ট অনুযায়ী, টেলিকম কমার্শিয়াল কমিউনিকেশনস কাস্টমার প্রেফারেন্স রেগুলেশন (TCCCPR), ২০১৮-র নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে টেলিকম অপারেটররা ২০২১ এবং ২০২২ অর্থবর্ষে যথাক্রমে ১৫,৩৮২টি এবং ৩২,০৩২টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।
বেড়েছে অবাঞ্ছিত কল-মেসেজের দৌরাত্ম্য
চলতি বছরের শুরুতে পরিচালিত সমীক্ষায় প্রায় ৭৬ শতাংশ মানুষ দাবি করেছেন যে, তারা হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাকাউন্টের সাথে কথোপকথন এবং ফেসবুক (Facebook), ইনস্টাগ্রাম (Instagram) জাতীয় প্ল্যাটফর্মে সময় কাটানোর উপর ভিত্তি করে অবাঞ্ছিত কল বা মেসেজ পেয়েছেন। তাছাড়া রোজদিনের অভিজ্ঞতায় এই সমস্যা বাড়তেই দেখা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে এই সমস্যা থেকে যে কবে রেহাই মিলবে, তার কোনো স্পষ্টতা নেই। হয়তো আজ দুপুরের ভাতঘুমের সময়ে অকাজে বেজে উঠবে আমার-আপনার ফোন!