কখন আপনি 5G ব্যবহার করতে পারবেন, কখন পারবেন না? অবশ্যই মাথায় রাখুন এই ৮টি বিষয়
বহু প্রতীক্ষার পর সপ্তাহ দুয়েক আগে ভারতে 5G পরিষেবা রোলআউট শুরু হয়েছে। দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানি...বহু প্রতীক্ষার পর সপ্তাহ দুয়েক আগে ভারতে 5G পরিষেবা রোলআউট শুরু হয়েছে। দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানি Reliance Jio এবং Airtel এখন দেশের নির্বাচিত শহরগুলিতে তাদের নতুন নেটওয়ার্ক চালু করেছে, আর বহু মানুষ পাচ্ছেন হাই স্পিড পরিষেবা। কিন্তু এই জিনিসটিকেই এখন কিছু মানুষ প্রতারণার নতুন হাতিয়ার করেছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ বেশ কয়েকটি রাজ্যের পুলিশ 5G কেলেঙ্কারি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে। ফলত আপনি যদি এই মুহূর্তে 5G ব্যবহারের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে কিছু জিনিস আপনাকে মাথায় রাখতেই হবে।
আসলে কীভাবে আপনি নিজের ফোনে ৫জি উপভোগ করতে পারেন এবং কীভাবে পরিষেবা পেতে পারেন না, সে বিষয়ে ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ নাহলে অচিরেই আপনি জালিয়াতদের ফাঁদে পা দিতে পারেন। তাই আমাদের আজকের প্রতিবেদনে বলা নিম্নলিখিত ৮টি আবশ্যিক বিষয়ে চোখ বুলিয়ে নিন।
১. ফোন আপডেটের মেসেজ: সম্প্রতি স্ক্যামাররা এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ইমেইলের মাধ্যমে একটি লিঙ্ক দিয়ে স্মার্টফোন ইউজারদের ফোন আপডেট করতে বলছে। তবে এয়ারটেল এবং রিলায়েন্স জিও উভয়ই গ্রাহকদের এই বিষয়ে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। তাই মেসেজের মাধ্যমে আসা এই লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করলে ডিভাইসে ম্যালওয়্যার দানা বাঁধতে পারে এবং ব্যাঙ্কিং ডিটেইলস, ডেটা চুরি হতে পারে৷
২. দূর থেকে ফোনে এনাবেল হবে না 5G: মনে রাখবেন যে, কেউ আপনার ফোনে দূরবর্তীভাবে (remotely) ৫জি পরিষেবা সক্ষম করতে পারবেনা। তাই এই ধরণের কোনো দাবিতে সাড়া দিয়ে কারও সাথে ব্যক্তিগত বিবরণ এবং ওটিপি শেয়ার করবেন না। এছাড়া ৫জি সক্ষম করার প্রতিশ্রুতি প্রদানকারী কোনো অ্যাপ ডাউনলোডও করবেন না।
৩. আপাতত এই শহরে মিলছে পরিষেবা: এয়ারটেল কোম্পানি শিলিগুড়ি, দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, নাগপুর এবং বারাণসীর মত আটটি শহরে ৫জি চালু করেছে এবং জিও বিটা ট্রায়াল শুরু করেছে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই এবং বারাণসীতে। তাই আপনি যদি এই শহরগুলিতে বসবাস না করেন তাহলে হাজার চেষ্টা করলেও হাই স্পিড পরিষেবা পাবেন না।
৪. 4G ফোনে মিলবে না 5G: ৫জি নেটওয়ার্ক পেতে আপনার অবশ্যই ৫জি সাপোর্টযুক্ত ফোন প্রয়োজন৷ ৪জি ফোনে আপনারা কোনোভাবেই পরিষেবা পাবেন না, আর কেউ আপনার ৪জি ফোনকে ৫জি-তে আপগ্রেড করতে পারবে না।
৫. OTA আপডেট: আপনার ফোনে ৫জি ফিচার না থাকলেও যদি আপনি পরিষেবা না পান, তাহলে স্মার্টফোন কোম্পানি বা টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারীর ওভার-দ্য-এয়ার (OTA) আপডেটের পরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
৬. সিম কার্ড: এই মুহূর্তে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ৫জি ব্যবহারের জন্য নতুন সিমের প্রয়োজন নেই। তাই স্ক্যামারদের ৪জি সিমকে ৫জি-তে আপগ্রেড করার প্রস্তাবে সাড়া দেবেন না।
৭. টেলিকম অপারেটরের নোটিফিকেশন: আপনারা টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারীর পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ৫জি চালু করতে পারবেন।
৮. 5G-র চার্জ: স্মার্টফোন ইউজারদের এখন 5G পরিষেবা ব্যবহার করার জন্য অতিরিক্ত টাকা প্রদান করতে হবে না। বিদ্যমান 4G প্ল্যানেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।