গ্রাহকদের জন্য স্বস্তির খবর, দাম বেশি হবে না Airtel 5G রিচার্জ প্ল্যানের

ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel) তাদের ৫জি প্লাস (5G Plus) পরিষেবাকে ইতিমধ্যেই ভারতের মোট ২১টি শহরে লঞ্চ করেছে। পাশাপাশি নতুন বছরে এই তালিকাকে আরো দীর্ঘ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। একই সাথে, প্যান ইন্ডিয়া ভিত্তিক ৫জি পরিষেবা চালু করা না পর্যন্ত অতিরিক্ত কোনো চার্জ ছাড়াই ৫জি প্লাস নেটওয়ার্ক কভারেজের অধীনে আসা শহরের নিবাসীরা তাদের বিদ্যমান ৪জি প্ল্যানের মাধ্যমে হাই-স্পিড ৫জি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাবেন বলেও নিশ্চিত করেছে টেলিকম সংস্থাটি। কিন্তু, ভারত জুড়ে ৫জি পরিষেবা চালু হওয়ার পর প্রিপেইড বা পোস্টপেইড রিচার্জ প্ল্যান কেনার জন্য কত টাকা খরচ করতে হবে – এই প্রশ্ন অনেকের মনেই জেগেছে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, সুনীল ভারতী মিত্তল পরিচালিত এই টেলিকম সংস্থাটি তাদের গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ৫জি প্ল্যান লঞ্চ করবে বলে কিছু বিনিয়োগকারী দাবি করেছে

প্রসঙ্গত, ৫জি পরিষেবার জন্য যথাযথ মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় খেয়ালে রাখতে হবে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। যেমন – কাস্টমার ইউসেজ প্যাটার্ন, মার্কেট ডাইনামিক বা বাজারের গতিশীলতা ও ইউজারের সংখ্যা। যেহেতু এয়ারটেল সাশ্রয়ী মূল্যে ৫জি প্ল্যান লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে, সেহেতু কম টাকার বিনিময়ে হাই-স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

সাশ্রয়ী মূল্যে 5G রিচার্জ প্ল্যান চালু করতে পারে Airtel

এয়ারটেল দীর্ঘ ৩ মাস ধরে সারা ভারত জুড়ে তাদের ৫জি পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু ৫তম প্রজন্মের মোবাইল সেলুলার নেটওয়ার্কের আগমন ঘটলেও, টেলিকম সংস্থাগুলি ৫জি প্ল্যানের জন্য ভারতীয়দের কত টাকা চার্জ করা হবে তা জানায়নি। মনে করা হচ্ছে, সারা দেশ জুড়ে ৫জি রোল-আউটের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এয়ারটেল সহ অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি এই বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট দেবে না।

তবে যেহেতু এই টেলিকম সংস্থাটি ভারতের বিভিন্ন শহর জুড়ে ৫জি প্লাস সার্ভিসের কভারেজ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে, সেহেতু আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হয়তো ৫জি প্ল্যানের দাম প্রকাশ্যে আসবে।

এদিকে জানিয়ে রাখি, এয়ারটেল বর্তমানে ৫জি নন-স্ট্যান্ডঅ্যালোন (NSA) নেটওয়ার্ক স্থাপন করছে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, নন-স্ট্যান্ডঅ্যালোনে ৪জি -এর স্পেকট্রাম ৫জি নেটওয়ার্কেও ব্যবহার করা যায়। তাই ৪জি -এর জন্য যে বিপুল সংখ্যক মিড-ব্র্যান্ড স্পেকট্রাম ছিল, সেগুলি ব্যবহার করেও বড় পরিসর জুড়ে ৫জি নেটওয়ার্ক কভারেজ প্রদান করার সুবিধা পাবে উক্ত টেলিকম সংস্থাটি। এই বিষয়ে এয়ারটেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, গত তিন বছরে টেলকো যে পরিমাণ ক্যাপেক্স ব্যয় করেছে তার অনুরূপ অর্থাৎ প্রায় ২৭,০০০ থেকে ২৮,০০০ কোটি টাকা ৫জি টাওয়ার স্থাপন ও নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশনের জন্য খরচ করা হবে। আর ক্যাপেক্সের এক বড় অংশ মূলত – রেডিও, ব্রডব্যান্ড, ফাইবার, এন্টারপ্রাইজ টেক ডেটা সেন্টার ইত্যাদিতে ব্যয় করা হবে।