Airtel গ্রাহক হলে অবশ্যই জানুন, সিম চালু করতে ন্যূনতম খরচ করতে হবে ২৯৯ টাকা, কি কি সুবিধা পাবেন

হালফিলে গ্রাহকদের জন্য দুটি ফার্স্ট রিচার্জ কুপন (FRC) বা ফার্স্ট রিচার্জ প্ল্যান নিয়ে হাজির হয়েছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর Bharti Airtel। এগুলির দাম হল ২৯৯ টাকা এবং ৪৭৯ টাকা। যারা জানেন না তাদেরকে বলে রাখি, ইউজাররা যখন প্রথমবারের জন্য উক্ত টেলিকম সংস্থাটির কোনো সিম কার্ড কেনেন, তখন তারা সাধারণভাবে যে প্ল্যানগুলির মাধ্যমে সাবস্ক্রাইব করেন, সেগুলিকেই এফআরসি (FRC) বলা হয়ে থাকে। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা যে দুটি এফআরসি সম্পর্কে কথা বলতে চলেছি, সেগুলি ইউজারদের জন্য তখনই উপলব্ধ হবে যখন তারা হোম ডেলিভারি মারফত কোনো সিম কার্ড হাতে পাবেন। উল্লেখ্য যে, নতুন গ্রাহকদেরকে প্রলুব্ধ করার জন্য Airtel কিন্তু এফআরসিগুলিতে কোনো বিশেষ সুবিধা দেয় না। আদতে এগুলি সংস্থার কিছু পুরোনো প্ল্যান। চলুন, নতুন Airtel প্রিপেইড সিম কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত উপরিউক্ত এফআরসি দুটির সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

Airtel-এর ২৯৯ টাকার প্ল্যান

ভারতী এয়ারটেলের ২৯৯ টাকার প্ল্যানের মেয়াদ ২৮ দিন। এই প্ল্যানে প্রতিদিন ১.৫ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড ভয়েস কলিং, এবং রোজ ১০০ টি করে এসএমএস খরচের সুযোগ মিলবে। তদুপরি, এয়ারটেল থ্যাঙ্কস (Airtel Thanks) অ্যাপের মাধ্যমে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে। উপরন্তু, আলোচ্য প্ল্যানটি Apollo 24/7 Circle-এর অ্যাক্সেস, ফ্রি Hello Tunes, FASTag-এ ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক, ১ বছরের জন্য Shaw Academy-র ফ্রি অনলাইন কোর্স এবং Wynk Music বেনিফিট সহ এসেছে।

Airtel-এর ৪৭৯ টাকার প্ল্যান

যারা একটু লম্বা ভ্যালিডিটিযুক্ত প্ল্যান রিচার্জ করতে চাইছেন, তারা এই প্ল্যানটি বেছে নিতে পারেন। উল্লেখ্য যে, এই প্ল্যানের মেয়াদ ৫৬ দিন। আর সুবিধার কথা বলতে গেলে, ৪৭৯ টাকার প্ল্যানে উপলব্ধ সকল সুবিধাগুলি ২৯৯ টাকার প্ল্যানের মতোই। অর্থাৎ সহজে বললে, কেবল ভ্যালিডিটি ছাড়া উক্ত দুটি এফআরসির মধ্যে আর কোনোও ফারাক নেই। প্রসঙ্গত বলে রাখি, ২৯৯ টাকা এবং ৪৭৯ টাকা দামের রিচার্জ প্ল্যান ভারতী এয়ারটেলের বিদ্যমান প্রিপেইড গ্রাহকদের জন্যও উপলব্ধ রয়েছে।

চলতি সময়ে Airtel কানেকশন নেওয়া কেন ইউজারদের জন্য ফায়দাজনক হতে পারে?

একথা আমাদের সকলেরই জানা যে, বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত বছরের অক্টোবরের শুরুতে এদেশে দ্রতগতির 5G পরিষেবা চালু হয়েছে। ইতিমধ্যেই Airtel ভারতের একাধিক শহরে পঞ্চম প্রজন্মের বিদ্যুৎ গতির নেটওয়ার্ক সার্ভিস রোলআউট করেছে। এর সুবাদে কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই বর্তমানে দেশের একাধিক শহরের বাসিন্দারা 4G সিম মারফতই নিজেদের 5G স্মার্টফোনে সংস্থার পঞ্চম প্রজন্মের দুরন্ত গতির নেটওয়ার্ক সার্ভিস ব্যবহার করতে পারছেন। সেইসাথে ২০২৪ সালের মধ্যে সারা দেশে এই পরিষেবা উপলব্ধ হবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে টেলিকম অপারেটরটি। কোম্পানির দাবি অনুযায়ী, 4G-র তুলনায় 5G-তে ২০ থেকে ৩০ গুণ দ্রুত স্পিড পাওয়া যাবে। ফলে চলতি সময়ে Airtel-এর প্রিপেইড সিম কার্ড নিলে গ্রাহকরা যে দুরন্ত গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের মজা উপভোগ করতে পারবেন, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই হালফিলে Airtel কানেকশন নেওয়া যে ইউজারদের জন্য অত্যন্ত ফায়দাজনক হবে, সেকথা নিঃসন্দেহে বলাই বাহুল্য।