2024 এর ভোটের আগে রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়াচ্ছে না Airtel, Jio ও Vi

Airtel, Jio, Vi ২০২১ সালের শেষের দিকে সর্বশেষ শুল্ক বৃদ্ধি করেছিল

Airtel, Vodafone Idea (Vi) ও Reliance Jio এর মতো টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম ফের বাড়াবে বলে গত কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছে। তবে নয়া একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, পরবর্তী ‘জেনারেল ইলেকশন’ বা সাধারণ নির্বাচন অর্থাৎ ২০২৪ সাল পর্যন্ত তারা এই ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেবে না। আসলে 5G পরিষেবা উন্নত করতে অপারেটরদের নিয়মিত বিনিয়োগ করতে হচ্ছে, তাই তারা চাইছিল যত শীঘ্র সম্ভব রিচার্জ প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি করতে। কিন্তু বাধ সেধেছে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন। কেননা নির্বাচনের আগে রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়ানো হলে তা বিভিন্ন স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। যার দরুন সুনীল ভারতী মিত্তল, অক্ষয় মুন্দ্রা এবং মুকেশ আম্বানি পরিচালিত টেলকম সংস্থাগুলি আগামী এক বছর পূর্ণ-মাত্রায় ট্যারিফ বা শুল্ক বাড়ানো থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছে।

পরিবর্তে, টেলকম অপারেটরগুলি পরোক্ষভাবে শুল্ক বাড়ানোর জন্য ছোটখাটো কিছু পরিবির্তন আনতে পারে তাদের রিচার্জ প্ল্যানগুলিতে। যেমন, Airtel ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি সার্কেলে ৯৯ টাকার এন্ট্রি-লেভেল রিচার্জ প্ল্যানটি বন্ধ করে দিয়েছে। যারপর সংস্থার নতুন বেস প্ল্যানের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫৫ টাকা। ফলে Jio ও Vi -ও তাদের মুনাফার হার বাড়াতে এবং নিজেরদের ঘাড়ে আসা অতিরিক্ত খরচের বোঝা হালকা করতে এয়ারটেলের পথ করতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের শেষের দিকে সর্বশেষ শুল্ক বৃদ্ধি হয়েছিল এবং এই খবর যদি সত্যি হয় তবে পরবর্তী ‘ট্যারিফ হাইক’ দু’বছরের অন্তরে অর্থাৎ ২০২৪ সালের শেষে করা হবে।

যাইহোক, প্ল্যানের দাম না বাড়াতে পারলে ভারতীয় টেলকোগুলির রাজস্ব বা রেভেনিউ বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং ‘অ্যাভারেজ রেভেনিউ পার ইউজার’ বা ARPU উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষত ভোডাফোন আইডিয়ার (Vodafone Idea) জন্য চলতি বছরে যত শীঘ্র সম্ভব শুল্ক বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কেননা প্রতি ত্রৈমাসিকে সংস্থাটির লোকসান বাড়তেই থাকছে৷ আর বহিরাগত বিনিয়োগকারীদের থেকে ফান্ড সংগ্রহ করার জন্য Vi -এর রেভেনিউ গ্রাফ যেমন হওয়া উচিত, তা একদমই নেই। তাই শুল্ক বৃদ্ধি আবশ্যক হয়ে পড়েছে Vi -এর জন্য।

এছাড়াও, ২০২২ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে ৫জি নেটওয়ার্ক ভারতে লঞ্চ করা হলেও টেলিকম অপারেটররা এখনও পর্যন্ত এই নব্য প্রজন্মের নেটওয়ার্ক পরিষেবার ফায়দা তুলতে পারছে না শুধুমাত্র ট্যারিফ বৃদ্ধি না হওয়ার জন্য। কেননা প্রত্যেকটি সংস্থা ৪জি পরিষেবার খরচে ৫জি নেটওয়ার্কের সুবিধা অফার করছে, তাই তাদের অপরেশন কস্ট -ও বিগত কয়েক মাসের মধ্যে আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি, আগামী কয়েক বছরে ধরে সারা দেশে ৫জি নেটওয়ার্ক বিস্তার করার জন্য আরও অধিক বিনিয়োগের প্রয়োজনও পড়বে। তাই ট্যারিফ বৃদ্ধি করা হলে, তবেই এই সকল প্রয়োজন মিটবে এবং এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া ও রিলায়েন্স জিওর মতো টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের রেভেনিউ মার্জিন বাড়াতে পারবে।