Jio কে টেক্কা দিয়ে আরও এক শহরে 5G পরিষেবা চালু করল Airtel

সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি Bharti Airtel হরিয়ানার পানিপথ শহরে তাদের ৫জি প্লাস (Airtel 5G Plus) নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু করেছে। অর্থাৎ, এখন পানিপথের বাসিন্দারাও…

সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি Bharti Airtel হরিয়ানার পানিপথ শহরে তাদের ৫জি প্লাস (Airtel 5G Plus) নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু করেছে। অর্থাৎ, এখন পানিপথের বাসিন্দারাও সম্পূর্ণ নিখরচায় নিজেদের 4G সিম মারফতই সংস্থার পঞ্চম প্রজন্মের দ্রুতগতির ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, পানিপথ হল এদেশের নবম শহর, যেখানে Airtel-এর 5G পরিষেবা পাওয়া যাবে। এর আগে কোম্পানিটি ভারতের আটটি শহরে তাদের 5G সার্ভিস চালু করছিল, যার মধ্যে রয়েছে মুম্বাই, দিল্লি, চেন্নাই, বারাণসী, হায়দ্রাবাদ, শিলিগুড়ি, নাগপুর এবং বেঙ্গালুরু। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা দেশে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সার্ভিস রোলআউট করার কাজে Airtel যেভাবে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, তাতে চলতি বছরের শেষের দিকে আরও বেশ কয়েকটি শহরে সংস্থার এই ‘রকেটের’ গতির নেট পরিষেবা উপলব্ধ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

পানিপথের এই সকল এলাকায় পাওয়া যাবে Airtel 5G Plus নেটওয়ার্ক পরিষেবা

বর্তমানে পানিপথের ভাবনা চক, বারসাত রোড, তহসিল ক্যাম্প, আইওসিএল, দেবী মন্দির সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় এয়ারটেলের ৫জি নেটওয়ার্ক সার্ভিস চালু হয়েছে। সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে যে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পানিপথের বাকি অঞ্চলগুলিতেও এয়ারটেলের পঞ্চম প্রজন্মের নেট পরিষেবা উপলব্ধ হবে। আর পুরো শহরটিতে কোম্পানির ৫জি সার্ভিস চালু হয়ে গেলেই ইউজাররা একদম দুরন্ত গতির নেট স্পিড পেতে সক্ষম হবেন।

Airtel-এর 5G পরিষেবা পেতে হলে ইউজারদেরকে কী করতে হবে?

এয়ারটেলের তরফে জানা গিয়েছে যে, এই মুহূর্তে ভারতে সংস্থার পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক পরিষেবা ব্যবহার করতে হলে ইউজারদের কোনো ৫জি সিম কার্ড ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। আর কোম্পানিটি যেহেতু এখনও আপামর ভারতবাসীর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ৫জি রিচার্জ প্ল্যান রোলআউট করেনি, তাই ব্যবহারকারীরা তাদের ৪জি সিমে বিদ্যমান রিচার্জ প্ল্যান মারফতই এই ঝড়ের গতির নেট পরিষেবা ব্যবহারের মজা উপভোগ করতে পারবেন। এর জন্য গ্রাহকদের কাছে কেবলমাত্র একটি ৫জি সাপোর্টেড স্মার্টফোন থাকলেই চলবে। তবে এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, এখনও পর্যন্ত কিন্তু সমস্ত ৫জি কানেক্টিভিটিযুক্ত হ্যান্ডসেটে এয়ারটেলের ‘রকেটের’ গতির নেট পরিষেবা মিলছে না। তাই কোন কোন ফোনে কোম্পানির ৫জি সার্ভিস পাওয়া যাবে, তা ইউজারদেরকে আগে থেকে জেনে নিতে হবে।

উল্লেখ্য যে, বর্তমানে Airtel কেবলমাত্র ভারতের নির্বাচিত কিছু শহরের বাসিন্দাদেরকে 5G পরিষেবা প্রদান করা শুরু করেছে। তাই এই মুহূর্তে সংস্থার পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সার্ভিসের স্বাদ পেতে চাইলে ইউজারদেরকে অবশ্যই কোম্পানিটির গ্রাহক হতে হবে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, Airtel ব্যবহারকারীরা এয়ারটেল থ্যাঙ্কস (Airtel Thanks) অ্যাপে গিয়ে চেক করে দেখতে পারেন যে তারা সংস্থার 5G পরিষেবা ব্যবহারের জন্য এলিজিবল কি না। শুধু তাই নয়, ইউজারদের হাতে থাকা স্মার্টফোন এবং তাদের নিজেদের শহরে সংস্থার 5G সার্ভিস উপলব্ধ কি না, তাও এই অ্যাপ মারফত জানা যাবে।