৩০০ দিন আর রিচার্জ করতে হবে না, BSNL এর এই ‘মহা’ সস্তা প্ল্যান রিচার্জ করা উচিত?

BSNL এর ৭৯৭ টাকার প্ল্যানটি এখন ৩৬৫ দিনের পরিবর্তে মোট ৩০০ দিনের বৈধতা সহ উপলব্ধ

ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল (Bharat Sanchar Nigam Limited or BSNL) সম্প্রতি ৭৯৭ টাকার প্রিপেইড প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছে। সংস্থাটি সম্প্রতি ঘুরপথে তাদের মোট চারটি বিদ্যমান প্রিপেইড প্ল্যানের‌ মূল্য বাড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৭৯৭ টাকার রিচার্জ প্যাকটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর ‘ঘুরপথে’ বলার কারণ এই চারটি প্ল্যানের দাম সরাসরি বাড়ানো হয়নি, তবে এদের বৈধতাসীমা কমিয়ে দিয়েছে BSNL। যার দরুন উক্ত প্ল্যানটি ৩৬৫ দিনের পরিবর্তে মাত্র ৩০০ দিনের ভ্যালিডিটি অফার করবে। যদিও বৈধতা হ্রাস ব্যতীত, টেলিকম সংস্থাটি বেনিফিটের দিক থেকে কোনো পরিবর্তন আনেনি তাদের এই প্ল্যানে। চলুন এখন BSNL এর ৭৯৭ টাকার প্রিপেইড প্ল্যান কি কি অফার করছে দেখে নেওয়া যাক।

BSNL এর ৭৯৭ টাকার প্রিপেইড প্ল্যান

বিএসএনএল এর ৭৯৭ টাকার প্ল্যানটি এখন ৩৬৫ দিনের পরিবর্তে মোট ৩০০ দিনের বৈধতা সহ উপলব্ধ। এছাড়া এর অন্যান্য সুবিধাগুলি অপরিবর্তিত রয়েছে। এক্ষেত্রে পূর্বের মতো গ্রাহকেরা এখনো এই প্ল্যানে প্রথম ৬০ দিনের জন্য আনলিমিটেড ভয়েস কলিং, দৈনিক ১০০টি এসএমএস এবং ২ জিবি ডেটা ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। বাদবাকি ২৪০ দিনের জন্য গ্রাহকের সিম কার্ড সক্রিয় থাকবে, যদিও বিনামূল্যে কোনও সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে না৷ এক্ষেত্রে আপনি যদি ডেটা বা ভয়েস কলিং ব্যবহার করতে চান, তবে আপনাকে ভাউচার রিচার্জ করতে হবে।

এবার প্রশ্ন হল এই প্ল্যানটি কী আদৌ একটি ভালো অফার? সেক্ষেত্রে বলি, যদি আপনি সারা বছর ধরে কেবল নিজের বিএসএনএল সিমটি সক্রিয় রাখতে চান তবে এই রিচার্জ প্যাকটি ভাল বিকল্প। বিশেষত যারা তাদের বিএসএনএল সিমকে সেকেন্ডারি বিকল্প হিসাবে রেখেছেন, তারা এটি রিচার্জ করতে পারেন। যদিও প্রাইমারি সিমের ক্ষেত্রে প্ল্যানটি বিশেষ কোনো সুবিধা দিতে পারবে বলে আমাদের মনে হয় না। বিশেষত যখন আলোচ্য প্ল্যানের বৈধতা কমে গিয়েছে এবং ১১ মাসের মধ্যে ৯ মাসই ভাউচারের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ভয়েস কলিং ও ডেটা ব্যবহার করতে হবে। অতএব সেকেন্ডারি সিমের জন্য প্ল্যানটি ভালো হলেও, প্রাইমারি সিমের জন্য এই প্ল্যান যথেষ্ট ব্যয়বহুল প্রমাণিত হবে।

পরোক্ষভাবে ট্যারিফ (শুল্ক) বাড়াচ্ছে BSNL

প্রসঙ্গত, বিএসএনএল বর্তমানে পরোক্ষভাবে তাদের রিচার্জ প্ল্যানগুলির শুল্ক বাড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের মালিকানাধীন এই টেলিকম সংস্থাটি তাদের পোর্টফোলিওর একাধিক প্রিপেইড প্ল্যানের দাম এক রাখলেও, সেগুলির বেনিফিট কমিয়ে দিয়েছে। ফলে গ্রাহকরা একই টাকা প্রদান করে, তুলনায় কম বৈধতা ও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। আমাদের মতে, এই পদক্ষেপ বিএসএনএল -এর জন্য লাভজনক একদমই হবে না, উল্টে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সার্কেলে গ্রাহকদের ধরে রাখা আরো কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কেননা বর্তমানে উক্ত সংস্থার সাথে সংযুক্ত বেশিরভাগ গ্রাহক ২জি এবং ৩জি মোবাইল ব্যবহারকারী, যারা অধিক টাকা খরচ করে কম বেনিফিটে সন্তুষ্ট থাকবেন না।