5G আসতেই হাল খারাপ 4G নেটওয়ার্কের, অভিযোগ Jio ও Airtel গ্রাহকদের

দিন-কে-দিন মোবাইল নেটওয়ার্কের যতই বিকাশ হোক না কেন বা যতই নেটওয়ার্ক সার্ভিস সাথে আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত হোক না কেন, সামগ্রিক পরিষেবা তথা কভারেজ নিয়ে (টেলিকম কোম্পানি নির্বিশেষে) বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ করে আসছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। ভালো সিগন্যাল না মেলা, ফোন কলে সমস্যা হওয়া কিংবা ইন্টারনেট স্পিড কচ্ছপের গতির মত মাপকাঠিতে পৌঁছে যাওয়া ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে বারবার। এদিকে গত বছরের অক্টোবরে মানে তিনমাস আগে দুই শীর্ষস্থানীয় Reliance Jio এবং Bharti Airtel নতুন 5G নেটওয়ার্ক চালু করেছে। উভয় সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, এই ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ সারা দেশেই মিলবে পঞ্চম প্রজন্মের দুর্দান্ত নেটওয়ার্ক পরিষেবা। নিঃসন্দেহে এটি খুশির খবর কারণ এতে ভালো গুণমানের কভারেজ মেলার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু এই কথা শুনেই এখন Jio তথা Airtel-এর গ্রাহকদের কপালের চিন্তার ভাঁজ পড়েছে! হ্যাঁ ঠিকই বলছি, আসলে এই দুই টেলকোর 4G ইউজাররা 5G-র এন্ট্রি নিয়ে চিন্তিত৷ তাঁরা সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে 5G চালু হওয়ার পরে, 4G নেটওয়ার্কের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।

দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে গ্রাহকরা সমস্যায় পড়ছেন

ইউজারদের অভিযোগ অনুযায়ী, দেশে ৫জি লঞ্চ হওয়ার পর থেকে জিও এবং এয়ারটেলের ৪জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা আগের থেকে আরও বেশি খারাপ হয়ে গেছে। এখন এই পুরোনো নেটওয়ার্কে কল ড্রপের ইস্যু তো দেখা যাচ্ছেই, তাছাড়া সমস্যা হচ্ছে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রেও। এই পরিস্থিতিতে ৪জি ব্যবহারকারীরা উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে, কোম্পানিগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে ৪জি নেটওয়ার্কের পরিষেবা ধ্বংস করার চেষ্টা করছে যাতে তারা ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে বাধ্য হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে অভিযোগের বন্যা

ইতিমধ্যেই ৪জি নেটওয়ার্কের খারাপ পরিষেবা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ হইচই শুরু হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগগুলির সত্যতা কতটা সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য মেলেনি। কারণ শুধুমাত্র টেলিকম কোম্পানিগুলি এবং সরকার ইউজারদের এই অভিযোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারবে। তবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি যে, টেকগাপের কিছু সদস্য (জিও গ্রাহক) ও তাদের পরিবারের লোকজন ৫জি নেটওয়ার্ক লঞ্চের আগে থেকেই ৪জির দুর্বল নেটওয়ার্ক স্পিডের সমস্যায় পড়েছেন।