কেন্দ্রের ব্যর্থতা ঢাকতেই কর্মীদের দোষারোপ, কাজে গাফিলতির প্রসঙ্গে মন্তব্য BSNL কর্মী ইউনিয়নের

কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে বিএসএনএল (BSNL) কর্মীমহলে। সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলকোর সিএমডি (CMD) পি কে পূর্বারের প্রতি লিখিত BSNL কর্মী ইউনিয়নের একটি চিঠিতে সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা গিয়েছে। অল ইউনিয়নস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনস অফ বিএসএনএল (AUAB) লিখিত এই চিঠিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। বিশেষ করে, মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব যেভাবে BSNL -এর সকল ব্যর্থতার দায় এর কর্মীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন, তাতে সত্যকে বিকৃত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ BSNL কর্মী সঙ্ঘের। শুধু এটুকুই নয়, বরং এক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতাকে চাপা দিতে কেন্দ্রীয় সরকার BSNL কর্মচারীদের বলির পাঁঠা করছে বলে, টেলকোর কর্মী ইউনিয়নের দাবি।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বিএসএনএল কর্মকর্তাদের প্রতি এক বক্তব্যে অশ্বিনী বৈষ্ণব সাফ জানান যে, সংস্থার সুদিন ফিরিয়ে আনতে হলে কর্মীদের অবশ্যই কাজে গাফিলতির ‘সরকারি’ মনোভাব ছাড়তে হবে। এর অন্যথা হলে কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর নিতে বাধ্য করা হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন। আর এতেই রুষ্ট হয় বিএসএনএল কর্মীমহল। তাই প্রতিবাদ স্বরূপ এইউএবি’র (AUAB) পক্ষ থেকে ১২ই আগস্ট (২০২২) বিএসএনএলের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর (CMD) পি কে পূর্বারের উদ্দেশ্যে একটি পত্র প্রেরিত হয়।

কর্মচারীদের কাজে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করলো BSNL কর্মী ইউনিয়ন

কাজে গাফিলতি অভিযোগ অস্বীকার তো বটেই, অধিকন্তু প্রেরিত পত্রে বিএসএনএল কর্মী সঙ্ঘের তরফ থেকে একথা জানানো হয় যে, VRS বা ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট স্কিমের লাভ উঠিয়ে প্রায় ৮০,০০০ কর্মচারী চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার ফলে বাকি কর্মীরা এই মুহূর্তে অত্যধিক কাজের চাপে জেরবার। এমনকি একারণেই রাজস্থান ও জলন্ধরের মত সার্কেলে কর্মচারীরা প্রত্যহ ১২ ঘন্টার উপর কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে কর্মী ইউনিয়নের অভিযোগ।

মন্ত্রীর বক্তব্য খন্ডন ছাড়াও আলোচ্য পত্রে BSNL কর্মী ইউনিয়ন, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএসে’র (TCS) বিরুদ্ধেও বড় অভিযোগ এনেছে। ইউনিয়নের দাবি, যথাসময়ে বরাত পেলেও টিসিএস (TCS) কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ দপ্তর অর্থাৎ ডট (DoT) কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রুফ অফ কনসেপ্টের (PoC) কাজ সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি 4G লঞ্চেও ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি গ্রাহকদের 4G পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে টিসিএস স্থাপিত উপকরণ প্রাইভেট টেলকোগুলির সাথে কতখানি পাল্লা দিতে পারবে, সে সম্পর্কেও বিএসএনএল কর্মী ইউনিয়ন নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।