নানা ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক স্কুটার ও সাইকেল এবার এক ছাদের তলায়, BLive তাদের চতুর্থ রিটেল স্টোর খুলল

দেশে শপিংমলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এক ছাদের তলায় হরেক রকম পণ্য হাতের নাগালে থাকে। ফলে মানুষের ব্যস্ত দিনচর্যায় অনেকটাই সময় বাঁচানো যায়। তেমনই এক ছাদের তলায় যদি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিক যানবাহন পাওয়া যায়, তবে গ্রাহকদের সোনার সোহাগা। এবার তারই ব্যবস্থা করল দেশের অন্যতম ব্র্যান্ড বিলাইভ (BLive)। সম্প্রতি সংস্থাটি হায়দ্রাবাদের মালাকপেটে তাদের নতুন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার বা অভিজ্ঞতা কেন্দ্র উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করেছে। যেখানে একই সাথে হরেক সংস্থার বৈদ্যুতিক টু-হুইলার বেছে নিতে পারবেন গ্রাহকরা। উল্লেখ্য, এটি তাদের চতুর্থ রিটেল স্টোর। বাকি তিনটি হায়দ্রাবাদের প্রগতিনগর, হাফিজপেত এবং বাপু নগরে অবস্থিত।

তেলেঙ্গানা ও হায়দ্রাবাদে এরকম কমপক্ষে ১৫টি রিটেল স্টোর খোলার কথা জানিয়েছে বিলাইভ। দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি দেখে ভারতের প্রতিটি পরিবারে ই-স্কুটার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে তারা। ২০২৩-এর মধ্যে সমগ্র ভারতে সংস্থাটি ১০০টির বেশি স্টোর খোলার পরিকল্পনা করেছে। ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্যই টু-হুইলার মিলবে সেখানে। তাদের শোরুমে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক স্কুটার, ইলেকট্রিক বাইসাইকেল এবং ডেলিভারি দেওয়ার জন্য বৈদ্যুতিক যানবাহন উপলব্ধ। প্রতিটি কোনও না কোনও ভারতীয় সংস্থার তৈরি। তাদের নতুন শোরুমে রয়েছে ব্যাটারি সোয়াপিংয়ের সুবিধা, সার্ভিস কিয়স্ক এবং ব্যাটারি চার্জিংয়ের পরিকাঠামো।

Kinetic Green, BattRE, LML – Detel, Techo Electra, Gemopai, E-Motorrad, Hero Lectro সহ আরো অন্যান্য সংস্থার ইলেকট্রিক টু-হুইলার বিক্রি করে বিলাইভ। তাদের শোরুম থেকে গ্রাহকদের একটি বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হয়। তা হল, কোন মডেলটি কিনলে নিজের প্রয়োজন ভালোভাবে মেটানো যাবে, তা অনেক সময়ই গ্রাহকদের বুঝতে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে সংস্থার তরফে বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। যারা ক্রেতাদের প্রয়োজন মতো মডেল বেছে নিতে সাহায্য করবেন। এছাড়াও রয়েছে স্কুটার কেনার পরবর্তী পরিষেবা দানের ব্যবস্থা।

বর্তমানে সংস্থাটি দেশের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর শহরে শোরুম খোলার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে। এতে বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি গ্রাহকদের বৈদ্যুতিক মডেলগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহল করে তোলে। যেকারণে এদের বেচাকেনার সংখ্যাও চোখে পড়ার মতোই। অন্যদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলের মাধ্যমে অন্যান্য সংস্থার সাথে গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা করছে বিলাইভ। এর ফলে সমগ্র দেশে পরিবেশবান্ধব যানবাহন ছড়িয়ে দেওয়া আরও সহজ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।