বিনামূল্যে আনলিমিটেড ডেটা সহ 5G পরিষেবা দিচ্ছে Jio, পরিষেবা না পেয়ে ক্ষেপে গেল এই শহরের বাসিন্দারা

ভারতের প্রথমসারির টেলিকম সংস্থা Reliance Jio-এর 5G পরিষেবা নিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট চেন্নাই নিবাসীরা। আসলে মুকেশ আম্বানি কিছু সময় পূর্বে মৌখিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে, ৫তম প্রজন্মের সেলুলার নেটওয়ার্কিংকে প্রাথমিকভাবে দেশের অন্যতম বড় চারটি শহরে চালু করা হবে। তৎকালীন সময়ে এই চারটি শহরের তালিকায় – চেন্নাই, দিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা সামিল ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে রিলিজ করা একটি নোটিসে সংস্থাটি জানিয়েছে যে, ‘নেক্সট জেনারেশন’ নেটওয়ার্কের প্রাথমিক রোলআউট পরিকল্পনা থেকে চেন্নাইকে বাদ দিয়ে বারাণসীকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অর্থাৎ সবথেকে প্রথমে 5G পরিষেবা ব্যবহারের সুবিধা – বারাণসী, দিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতা-বাসীরা পাবেন। কিন্তু আকস্মিক চেন্নাইকে তালিকাচ্যুত করে কেন বারাণসীকে 5G-সার্কেলের অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নিল Jio, সেই কারণ এখনও অজ্ঞাত। তবে শেষ মুহূর্তে এসে টেলিকম সংস্থাটির এরূপ মত পরিবর্তনে ক্ষুব্ধ চেন্নাইয়ের মানুষ এবং প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

এই মুহূর্তে আমাদের কাছে 5G পরিষেবা প্রদানের অবস্থান পরিবর্তনের হেতু সম্পর্কিত কোনো তথ্য নেই। তবে সিদ্ধান্ত বদলের উৎস জানতে পারলে অবশ্যই আপনাদের অবগত করবো আমরা। আপাতভাবে উল্লেখিত চারটি শহরের বাসিন্দারা কীভাবে Jio দ্বারা চালু করা 5G নেটওয়ার্কিং পরিষেবার লাভ ওঠাবেন বা এমনটা করার জন্য কি কি দরকার সেই সম্পর্কে বিশদে জেনে নিতে পারেন আমাদের এই প্রতিবেদন থেকে।

Jio 5G নেটওয়ার্ক পরিষেবার সুবিধা পাবেন কীভাবে :

রিলায়েন্স জিও, নির্বাচিত শহর অর্থাৎ বারাণসী, দিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতাতে ট্রু ৫জি (True 5G) পরিষেবার অভিজ্ঞতা লাভের জন্য তাদের গ্রাহক-বেসকে আমন্ত্রণ জানাবে। এক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে সংস্থাটি কয়েকজন ভাগ্যবান গ্রাহকদের বেছে নেবে। যদিও, ঠিক কতজনকে লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হবে সেই সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনো সামনে আনা হয়নি। তবে, উল্লিখিত শহরের বাসিন্দা হওয়া এবং স্মার্টফোনের লোকেশন ফিচার এনাবলের মতো বিষয়গুলি জিও সংস্থার তরফ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হতে পারে।

২০২৩ সালের মধ্যে ভারতের প্রতিটি অংশে 5G নেটওয়ার্ক নিয়ে আসার লক্ষ্য Jio-র

রিলায়েন্স জিও ভারতের একমাত্র টেলিকম অপারেটর, যারা প্রথম থেকেই 5G SA (স্ট্যান্ডালোন) পরিষেবা প্রদান করবে। আপনাদের অবগতের জন্য জানিয়ে রাখি, জিও ইতিমধ্যেই দেশীয় ৫জি সলিউশন তৈরি করেছে এবং এই প্রযুক্তি নির্মাণে সহায়তার জন্য বেশ কয়েকটি বিদেশী সংস্থার সাথে অংশীদারিত্বও করেছে। এছাড়া, মুকেশ আম্বানির সংস্থাটি ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতের ছোট-বড় প্রতিটি অঞ্চলে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করার টার্গেট নিয়েছে বলে জানিয়েছে হালফিলে।

এক্ষেত্রে, আপনারাও যদি রিলায়েন্স জিও আনীত ট্রু ৫জি পরিষেবা উপভোগ করতে চান, তবে প্রথমেই আপনাদের ডিভাইস 5G SA নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট হতে সক্ষম কিনা তা সুনিশ্চিত করুন। প্রসঙ্গত আপনার কাছে যদি এমন একটি স্মার্টফোন না থাকে তবে জানিয়ে দিই যে, একাধিক স্মার্টফোন ব্র্যান্ড বর্তমানে গ্রাহকদের চাহিদাকে মাথায় রেখে ভারতে 5G SA সমর্থিত হ্যান্ডসেট লঞ্চ করছে এবং যে ডিভাইসগুলি সাপোর্ট করে না সেগুলিতেও 5G SA নেটওয়ার্ক সমর্থন চালু করার পরিকল্পনা করছে।