পুরোনো SIM Card বন্ধ করতে চান? এই বিষয়টি মাথায় না রাখলে হতে পারে বড় ক্ষতি

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ফোনে যত রকমেরই ফিচার আসুক না কেন, সিম কার্ড ছাড়া এখনো মুঠোফোন একপ্রকার (পড়ুন অধিকাংশ ইউজারের জন্য) অচল! কারণ নির্দিষ্ট কোম্পানির নেটওয়ার্ক কানেকশন ব্যবহার করে কল, মেসেজ, ইন্টারনেট ইত্যাদি সুবিধা ব্যবহার করার জন্য সিম কার্ড অত্যাবশ্যক। বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে কিছু টেলিকম অপারেটর ই সিম (E-Sim) সার্ভিস চালু করেছে বটে, কিন্তু বেশির ভাগ মোবাইল ব্যবহারকারীরই ভরসা শক্ত এবং প্রায় চৌকাকৃতির ফিজিক্যাল সিম। এত গেল সিম কার্ডের গুণমহিমার কথা, যা আমাদের সকলেরই জানা; কিন্তু এই সিম কার্ড ব্যবহার করার সময় সতর্ক না থাকলে কী বিপদ হতে পারে, সে খবর কজন রাখেন? শুনতে অবাক লাগলেও এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়! সিম কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে করা একটি ভুল আপনার বিশাল ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি এর জেরে খালি হয়ে যেতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে অনেক আগে বন্ধ হওয়া একটি সিম কার্ড থেকে তার ‘প্রাক্তন’ ইউজার চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

পুরোনো সিম কার্ডের মালিকানা অন্যের হাতে? নিজেই বিপদ ডেকে আনছেন

সাধারণত, কোনো নির্দিষ্ট নম্বরের সিম কার্ড ব্যবহার করতে আমাদের সেটিতে ন্যূনতম ব্যালান্স রিচার্জ করতে হয়, তা না হলে নম্বরটি কোম্পানির তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমাদের সাথেও এরকম ঘটনা মাঝেমধ্যেই হয়েছে বা হয়ে থাকে; এদিকে, একবার কোনো নম্বর বন্ধ হয়ে গেলে আমরা তাতে মনোযোগও দিই না। কিন্তু ব্যাপার হচ্ছে যে, একবার কোনো ইউজারের একটি নম্বর বন্ধ হলে তার পরিষেবা পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে যায়না। কিছু সময় পরে নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডার বা টেলিকম সংস্থাগুলি সেই নম্বর অন্য কোনো গ্রাহককে দেয়। এতে করে নম্বরটি তো পুনরায় সচল হয়ই, আর তার সাথে ঘটে যায় নানাবিধ বিপত্তি।

প্রথমত, যদি আপনার পুরোনো নম্বর কেউ নতুন করে ব্যবহার করতে শুরু করেন তাহলে আপনার পরিচিতবর্গ বা যেখানে যেখানে সেই নম্বর প্রয়োজনের জন্য দেওয়া ছিল, সেখান থেকে যোগাযোগ হতে পারে। কিন্তু তার সাথে আরো যে সমস্যাগুলি হতে পারে, তা হল আপনার ওই নম্বরের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করে ফেলতে পারেন নতুন গ্রাহক। এমনকি যদি তার সাথে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক থাকে, তাহলে তারও নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে অন্যের হাতে। এছাড়াও সিম কার্ড স্ক্যামের সম্ভাবনা তো থেকেই যায়।

সুতরাং, কোনো মোবাইল নম্বর বন্ধ করার সময় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে নম্বরটি অন্য কোনো গ্রাহকের কাছে যেন না যায়। তাছাড়াও সেটিকে সমস্ত লিঙ্কড্ অ্যাকাউন্ট থেকে রিমুভ করতে হবে। উপরন্তু, দীর্ঘদিন ধরে রিচার্জ করেননি এমন কোনো নম্বর কখনোই রাখবেননা।