5G পরিষেবার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রইল Jio, রকেটের মত ডাউনলোড স্পিড পাচ্ছেন এইসব শহরের মানুষ

4G পরিষেবার হাত ধরে ভারতের টেলিকম বাজারে প্রবেশ করার পর থেকেই একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়েছে Reliance Jio। রিচার্জ প্ল্যানের দাম, কভারেজ, সামগ্রিক পরিষেবা – সমস্ত ক্ষেত্রেই মুকেশ আম্বানির এই কোম্পানি অন্যান্যদের এগিয়ে। কিন্তু 5G? পঞ্চম প্রজন্মের নতুন নেটওয়ার্ক দিয়ে যে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছে গোটা ভারত, সেখানে কতটা সফল Jio-র ম্যাজিক? সেক্ষেত্রে বলি, গত অক্টোবরের শুরুর দিকে লঞ্চ হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত দেশের ৫০টিরও বেশি শহরে 5G নেটওয়ার্ক উপলব্ধ হয়েছে। আর মজার ব্যাপার হল যে, 5G নেটওয়ার্কের স্পিডের নিরিখে ফের নিজের সেরাটা দিয়েছে Jio, যেখানে সংস্থার প্রতিদ্বন্দ্বী Airtel-এর পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে উচ্চ মানের স্পেকট্রাম ব্যান্ড ব্যবহারের কারণেই শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর তার জায়গা ধরে রাখতে পেরেছে বলে মনে হচ্ছে।

২০২৪ সালে গোটা দেশেই মিলবে 5G পরিষেবা

এই মুহূর্তে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই এবং বারাণসীসহ নির্বাচিত কিছু শহরেই ৫জি সার্ভিস মিলছে। তবে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে সারা দেশে এই নেটওয়ার্ক পরিষেবা উপলব্ধ হবে বলে টেলিকম কোম্পানিগুলি জানিয়েছে। আর এই পরিষেবার দরুন মোবাইল ইউজাররা ৪জি (4G)-এর থেকে ১৬ গুণ বেশি স্পিড পাবেন।

বিভিন্ন শহরে Jio এবং Airtel-এর স্পিডে দেখা গেছে বিশাল পার্থক্য

ওকলা (Ookla)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে জিওর ডাউনলোড স্পিড ছিল ৫৯৮.৫৮ এমবিপিএস, যেখানে এয়ারটেলের গ্রাহকরা ১৯৭.৯৮ এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড পেয়েছেন। আবার কলকাতায় জিওর গড় ডাউনলোড স্পিড ৪৮২.০২ এমবিপিএস থাকলেও, এয়ারটেলের গড় ডাউনলোড স্পিড ৩৩.৮৩ এমবিপিএস পর্যন্ত ছিল।

তবে সব মিলিয়ে বললে দেশের প্রধান শহরগুলিতে জিও বা এয়ারটেলের গড় গতিতে তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি৷ কারণ বিগত কয়েক মাসের মধ্যে এয়ারটেলের গড় ডাউনলোডিং স্পিড ছিল ৫১৬.৫৭ এমবিপিএস, অন্যদিকে জিওর ডাউনলোড স্পিড ছিল ৪৮৫.২২ এমবিপিএস। ওকলার রিপোর্ট অনুযায়ী, এন৭৮ (N78) স্পেকট্রাম ব্যান্ড ব্যবহার করে এই সংস্থাগুলি ৫জি পরিষেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ভালো ফল করেছে।