সারারাত ফোন বন্ধ থেকেও শেষ সমস্ত ডেটা! মোবাইল ইউজারদের প্রেক্ষিতে সংসদে চলল মজার সওয়াল-জবাব

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট যেভাবে জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে, তাতে করে মোবাইল ডেটার ব্যবহার উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। কয়েকটা বছর আগে যেখানে ১ জিবি ডেটায় মোবাইল ইউজারদের গোটা একটা মাস কেটে যেত, সেখানে বেশিরভাগেরই রোজ ৩ জিবির কাছাকাছি ডেটা প্রয়োজন হচ্ছে। আর গ্রাহকদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে টেলিকম সংস্থাগুলিও বিভিন্ন ধরণের ডেটা সুবিধাযুক্ত রিচার্জ প্ল্যান অফার করে চলেছে। কিন্তু অনেক সময়েই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করছেন যে, যথাযথ রিচার্জ করা সত্ত্বেও তাদের ডেইলি ডেটা লিমিট দ্রুত শেষ হয়ে যায়; এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই টুং করে চলে আসে ডেটা শেষ হওয়ার মেসেজ। সেক্ষেত্রে এবার এই নেটপাড়ার অস্বস্তি তথা মজার বিষয়টিই পৌঁছে গেল পার্লামেন্টে। আসলে এই দ্রুত ডেটা শেষ হওয়ার (তেমন ব্যবহার না করা সত্ত্বেও) ঘটনাটি কেবল সাধারণ ইউজারের সাথেই নয়, বরঞ্চ কংগ্রেস সাংসদ জসবীর সিং গিলের সাথেও ঘটেছে। আর জসবীর, এই সমস্যার বিষয়টিকেই সম্প্রতি সংসদে তুলে ধরেছেন। 

ঘুমানোর সময় মোবাইল ডেটা কি ভূতে ব্যবহার করে?

সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ জসবীর সিং গিল অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন যে, এয়ারটেল (Airtel) বা জিও (Jio)-এর মত বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে। তাঁর মতে, কেউ যদি রাতে ফোন বন্ধ করে ঘুমান এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার মোবাইল ব্যবহার করেন – তাহলে তার মধ্যেই কীভাবে ডেটা শেষ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে জসবীর তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে প্রশ্ন করেন যে তিনি যখন ঘুমান তখন কি তাহলে ভূতে তার মোবাইল ডেটা ব্যবহার করে?

সেক্ষেত্রে অশ্বিনী বৈষ্ণব এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে উল্টে কংগ্রেস নেতাকে তাদের দল পরিচালিত সরকার সম্পর্কে টিপ্পনি ছুঁড়ে দিয়েছেন। অশ্বিনী, কয়েক বছর আগের রিচার্জ খরচের প্রসঙ্গ টেনে জসবীরকে বলেছেন যে – তিনি ভূতের কথা বলছেন বটে, কিন্তু সেই একই ভূতেরা আগে ১ জিবি ডেটার জন্য ২০০ টাকা চার্জ নিত; অথচ এখন ২০ টাকারও কমে ১ জিবি মোবাইল ডেটা পাওয়া যায়। সোজা কথায় বললে, এখন ডেটার দাম কত কম – সেই বিষয়টিতেই আলোকপাত করেছেন অশ্বিনী।

BSNL-কে নিয়ে পূর্বতন সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন যে, ইউপিএ (UPA) সরকারের সময় বিএসএনএল (BSNL)-এর প্রচুর তহবিল ডাইভার্ট করা হয়েছিল, যার কারণেই সংস্থাটির অবস্থা খারাপ হয়। তাঁর মতে, বিএসএনএল, তৎকালীন কিছু মন্ত্রীদের কাছে গরুর দুধের মত ছিল। যদিও এবার (খুব শীঘ্রই) এই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম কোম্পানির পুনরুজ্জীবন হবে এবং কোম্পানির জন্য সুদিন আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।