Smartphone: গত তিনমাসে 44 কোটি স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ভারতে, Samsung নাকি Xiaomi এগিয়ে

ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন' (IDC) রিসার্চ ফার্মের একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯ সালের পর চলতি বছরে (জুলাই - সেপ্টেম্বর) তৃতীয় কোয়ার্টারে এসে এতটা কম স্মার্টফোন শিপমেন্ট হয়েছে

গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতে কিছুটা পরিমাণ স্মার্টফোন শিপমেন্ট বাড়লো। এই সময়ে ৪৪ মিলিয়ন বা ৪.৪ কোটি ফোন ভারতে বিক্রি হয়েছে। যদিও ২০২২ সালের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক কম। সংস্থাগুলির মধ্যে Samsung সর্বাধিক সংখ্যক মোবাইল এই দেশে এনেছে। যদিও Xiaomi অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে।

‘ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন’ (IDC) রিসার্চ ফার্মের একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯ সালের পর চলতি বছরে (জুলাই – সেপ্টেম্বর) তৃতীয় কোয়ার্টারে এসে এতটা কম স্মার্টফোন শিপমেন্ট হয়েছে। মূলত কম চাহিদা এবং ডিভাইসের উচ্চ মূল্যের জন্য এমনটা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোনের ‘গড় বিক্রয় মূল্য’ (ASP) ২৫৩ ডলারে (প্রায় ২১,০০০ টাকা) পৌঁছেছে, যা কিনা গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৫% এবং বার্ষিক-ভিত্তিতে ১২% অধিক। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতারা নয়া মোবাইল কিনতে খুব একটা আগ্রহ দেখেনি। ফলস্বরূপ শিপমেন্ট নিম্নগামী হয়।

তবে এই একই সময়ে ফোল্ডেবল স্মার্টফোন সেগমেন্টে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নজরে পড়েছে। প্রায় ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ইউনিট চালান হয় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এই ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক অর্থাৎ ৬০% মার্কেট শেয়ারের সাথে সবার শীর্ষে আছে Samsung।

একই ভাবে, 5G-এনাবল স্মার্টফোনগুলিও যথেষ্ট মুনাফা ভরেছে টেক ব্র্যান্ডগুলির ঝুলিতে। উল্লেখিত সময়ে 5G মোবাইলের শিপমেন্ট একধাক্কায় ৫৮% বা ২.৫ কোটি ইউনিট পর্যন্ত বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ এই সময়ে ৫জি ফোনের দাম ৯% হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। এছাড়া একাধিক বাজেট-রেঞ্জের হ্যান্ডসেটের লঞ্চ এবং বিভিন্ন অনলাইনে প্ল্যাটফর্মে অফার থাকার কারণেও ক্রেতা টানতে সক্ষম হয়েছে সংস্থাগুলি। রিপোর্ট অনুসারে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সর্বাধিক বিক্রি হওয়া 5G মডেলগুলি হল – Samsung Galaxy A14, Apple iPhone 13, এবং Xiaomi Redmi 12৷

২০২৩ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে সর্বাধিক মোবাইল শিপমেন্ট করে Samsung

আইডিসি রিপোর্টে আরো উল্লেখ আছে যে, Samsung মোট ১৬.২% মার্কেট শেয়ারের সাথে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক এই ব্র্যান্ড বার্ষিক ১২.২% লভ্যাংশ খোয়ালেও, গত ত্রৈমাসিকে ১৮.৫% মুনাফা অর্জন করেছে। Samsung -এর পর দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান যথাক্রমে Realme (১৫.১%), Vivo (১৩.৯%) ও Xiaomi (১১.৭%) -এর দখলে আছে। এই সময়ে Realme এবং Vivo -এর বার্ষিকী আয় বৃদ্ধি পায়। বিপরীতে Xiaomi ৩২.৪% বার্ষিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

সর্বাধিক মুনাফা এসেছে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন সেগমেন্টের থেকে

চলতি বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে এসে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের (৫০,০০০ টাকা – ৬৬,৫০০ টাকা) চাহিদা ৫২% বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে – Apple iPhone 13, Samsung Galaxy S23/23 FE, এবং Moto Razr 40 ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলির ব্যাপক বিক্রি মার্কেট শেয়ার প্রভাবিত করেছে৷

তদুপরি সুপার-প্রিমিয়াম সেগমেন্টের (৬৬,৫০০ টাকা বা তার অধিক মূল্যের) চালান ৪৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। যার দরুন উক্ত সেগমেন্টটি এখন মোট ৬% মার্কেট শেয়ার পেয়েছে। জানিয়ে রাখি, ২০২২ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে সুপার-প্রিমিয়াম সেগমেন্টের মার্কেট শেয়ার ছিল ৪%। যাইহোক গত ত্রৈমাসিকে – Apple iPhone 13/14/14 Plus, Samsung Galaxy Z Fold5/Flip5 এবং Galaxy S23+/S23 Ultra সর্বাধিক বিক্রি হয়েছে।

এবার আসা যাক ৮,০০০ টাকার কম অর্থাৎ এন্ট্রি-লেভেল সেগমেন্টের অধীনে আসা ফোনের চালান প্রসঙ্গে। উক্ত সেগমেন্টটির চালান গত ত্রৈমাসিকে ১৬% বেড়েছে। যার জন্য মোট শেয়ার ২০% -এ পৌঁছেছে। এছাড়া মিড-প্রিমিয়াম সেগমেন্ট (৩৩,০০০ টাকা – ৫০,০০০ টাকার মধ্যে) -এর চালান ৩৭% বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উক্ত সেগমেন্টটির শেয়ার ২০২৩ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৩৭% -এ পৌঁছেছে।