ভাল ফিচারের চেয়ে অধিক সুরক্ষিত গাড়ি কিনতে বেশি দাম দিতে ইচ্ছুক ভারতীয়রা, বলছে সমীক্ষা

পথেঘাটে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথেই প্রত্যহ পথ দুর্ঘটনাও উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। যে কারণে ইদানিং সাধারণ মানুষ নিরাপত্তার বিষয়ে অধিক সচেতন হচ্ছেন। রাস্তায় বেরোলে যাতে নিরাপদে বাড়ি ফেরা যায় সেই চিন্তাই সকলের। বস্তুত অধিক নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে ভারতীয়রা বেশি গাঁটের কড়ি দিতেও প্রস্তুত। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, বেশি সুরক্ষা পাওয়ার আশায় ভারতে এখন   ক্রেতারা অতিরিক্ত নিরাপত্তাসমৃদ্ধ গাড়ি কিনতে অধিক অর্থ চোকাতে ইচ্ছুক৷

কারট্রেড টেকের অধীনস্থ মোবিলিটি আউটলুক (Mobility Outlook), সম্প্রতি এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বর্তমানে গাড়ির ক্রেতারা (ভারতীয়) যানবাহন সুরক্ষা সম্পর্কে অধিক সচেতন হয়েছেন এবং বেশি সুরক্ষা ফিচার সমৃদ্ধ বাহন কিনতে তাঁরা অধিক গাঁটের কড়ি ফেলতেও প্রস্তুত। ২.৭ লক্ষ ভারতীয় ক্রেতাদের উপর চালানো হয়েছিল এই সমীক্ষা। যার মধ্যে মেট্রো ও নন-মেট্রো, উভয় শহরের দুই ও চার চাকার গাড়ির মালিকরা সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গাড়ি প্রস্তুতকারী দুই সংস্থা, টাটা মোটর্স (Tata Motors) ও মাহিন্দ্রা (Mahindra)-র গাড়ি গ্লোবাল সংস্থার সেফটি ক্র্যাশ টেস্টে পূর্ণ নম্বর সহ উত্তীর্ণ হয়েছে। টাটা পাঞ্চ (Tata Punch) হল সংস্থার সেই গাড়ি যা গ্লোবাল NCAP-র নিরাপত্তা পরীক্ষায় গর্বের সহিত পাস করেছে। এছাড়াও Tata Nexon, Tigor, Tigor EV, এবং Altroz – দেশের নিরাপদ যানবাহনের তালিকায় প্রথম দিকে স্থান পেয়েছে। অন্যদিকে Mahindra XUV300, Thar এবং সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া XUV700 হল ভারতের অন্যতম সুরক্ষিত গাড়ি।

সমীক্ষায় উঠে এসেছে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সমীক্ষাকারী নিজেদের গাড়িতে নিরাপত্তার মান বৃদ্ধি করতে ৩০,০০০ টাকার অধিক পরিমাণ অর্থ খরচ করতে রাজি। সমীক্ষার বৈধ সহযোগী উপদেষ্টা ফ্রস্ট এন্ড সুলিভান (Frost & Sullivan) জানিয়েছে, “সমীক্ষা চালানো মানুষের মধ্যে চার ভাগের তিন ভাগ ক্রেতা চার বা পাঁচতারা সমৃদ্ধ সুরক্ষিত গাড়ি কিনতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সেজন্য তাঁরা নিজেদের বাজেট বাড়াতেও সম্মত।”

তবে সমীক্ষায় এও দেখা গেছে, “এখনো দেশের ২৭% মানুষ গাড়ির সেফটি-রেটিং সম্পর্কে অজ্ঞাত।” এক্ষেত্রে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলি যেমন এবিএস, এয়ার ব্যাগ ইত্যাদি বাধ্যতামূলক করার ফলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি দেখা গেছে ৪৫% ক্রেতা মনে করেন সেফটি নতুন গাড়ির থেকে হাতফেরতা গাড়ি কেনাই অধিক সুরক্ষিত।