Maruti সুরক্ষায় বড়সড় ত্রুটির আশঙ্কায় গাড়ি ফিরিয়ে নিচ্ছে বাজার থেকে, আপনারটা নেই তো তার মধ্যে?

Maruti Suzuki Dzire বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক বিক্রিত সেডানগুলির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এবার সেই জনপ্রিয় গাড়ির S Tour মডেলে ধরা পড়লো ত্রুটি। যার ব্যবহার মূলত কমার্শিয়াল সেক্টরে সীমাবদ্ধ। রাস্তায় বেশি দেখা যায় অ্যাপ ক্যাব হিসাবে। সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে মারুতি সুজুকি। সুরক্ষাজনিত ফিচারের মধ্যে অন্যতম এয়ারব্যাগে ত্রুটির আশঙ্কায় বাজার থেকে Dzire S Tour-এর ১৬৬ ইউনিট তুলে নেওয়ার ঘোষণা করল সংস্থা। জানানো হয়েছে, সেগুলিতে এয়ারব্যাগ কন্ট্রোল ইউনিট পরিবর্তনের প্রয়োজন। নতুন এয়ারব্যাগ লাগানোর সমস্ত খরচ সংস্থা নিজেই বহন করবে।

Dzire S Tour-এর যে ১৬৬ ইউনিট ফেরতের ডাক দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটি চলতি মাসের শুরুর দিকে নির্মাণ করেছিল মারুতি সুজুকি। ৬-১৬ আগস্টের মধ্যে তৈরি হয়েছিল সেগুলি। গাড়ি ফিরিয়ে নেওয়া এবং তার কারণ দর্শিয়ে আজ সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট গাড়িগুলির এয়ারব্যাগ কন্ট্রোল ইউনিটে ত্রুটি থাকার সম্ভাবনার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। সেগুলি এখনই না পাল্টালে, ভবিষ্যতে গাড়ির মালিকরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে জানিয়েছে সংস্থা।

এই প্রসঙ্গে মারুতি সুজুকির বক্তব্য, “গ্রাহকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, এয়ার ব্যাগ কন্ট্রোল ইউনিট রিপ্লেস না করা পর্যন্ত গাড়ি না চালানোর।” এজন্য সংস্থার তরফে গাড়ির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করা হবে। ত্রুটিপূর্ণ এয়ারব্যাগ কন্ট্রোল ইউনিট পরিবর্তনের জন্য মারুতি সুজুকির ওয়ার্কশপ থেকে গ্রাহকদের নির্দেশিকা পাঠানো হবে। সংস্থা জানিয়েছে, “গ্রাহকরা চাইলে কোম্পানির ওয়েবসাইটে ‘আইএমপি কাস্টমার ইনফো’-তে ঢুকতে পারেন। সেখানে ভেহিকেল চ্যাসিস নম্বর (MA3 দিয়ে শুরু হয়ে ২৪ সংখ্যার আলফানিউমারিক নম্বর) দিয়ে দেখে নিতে পারেন তাঁদের গাড়ি রিকল অর্ডারের মধ্যে পড়ছে কিনা।”

মারুতি সুজুকি আরও জানিয়েছে, চ্যাসিস নম্বর গাড়ির আইডি প্লেটে এবং ভেহিকেল ইনভয়েস অথবা রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্টে পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে Maruti Suzuki Dzire S Tour-এর দাম ৬.০৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে শুরু। এবং এর টপ এন্ড মডেলটির মূল্য ৭ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যায় গাড়িটি। এটি সিএনজি ও ১.২ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন বিকল্পে বেছে নেওয়া যায়। পেট্রোল ইঞ্জিনের আউটপুট ৮২ বিএইচপি শক্তি এবং ১১৩ এনএম টর্ক। এতে রয়েছে ৫-স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন।