ভর্তুকি দিতে দিতে শোচনীয় দশা, পেট্রল-ডিজেলের ব্যবহার কমাতে সরকারি ছুটির ভাবনা নেপালে

Published on:

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে গোলাবর্ষণ শুরুর পর থেকে ভুক্তভোগী বিশ্বের প্রায় সমস্ত অনুন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ। এমনকি উন্নত দেশগুলিতেও যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব যথেষ্টই পড়তে দেখা গিয়েছে। যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে, তা হচ্ছে পেট্রোল-ডিজেলের ঝাঁঝালো মূল্য। এই দরবৃদ্ধির সাথে উন্নয়নশীল দেশ যেমন ভারতের জোঝার ক্ষমতা থাকলেও নেপালের মতো ছোট দেশের পক্ষে তা একেবারেই সম্ভব নয়। তাই এহেন সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে চলতি মাসে দু’দিনের সরকারি ছুটি দেওয়ার প্রসঙ্গে পরিকল্পনা করছে নেপাল সরকার।

আসলে বিশ্ববাজার থেকে পেট্রোল-ডিজেল কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে নেপাল সরকারের। কারণ ডলার ছাড়া তেল কেনা সম্ভব নয়। তাই বৈদেশিক মুদ্রার সম্ভার কম রয়েছে, এমন দেশ হিসেবে নেপালে দু’দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলে সমগ্র দেশে অনেকটাই জ্বালানি সাশ্রয় করা যাবে বলেই ধারণা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ নেপাল এবং নেপাল অয়েল কর্পোরেশনের। এই দুই সংস্থা সরকারের কাছে তাই দু’দিনের ছুটি ঘোষণার পরামর্শ দিয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনও জারি থাকায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী দেশ হিসেবে রাশিয়া আন্তর্জাতিক বাজারে তেল সরবরাহের নিষেধাজ্ঞার অধীন। আবার ইরান ও ভেনিজুয়েলার মতো বড় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির উপরে তেল বিক্রির নিষেধাজ্ঞা এখনও ওঠেনি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম চরচরিয়ে বেড়েছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে নেপালের মতো দেশগুলিকে। যদিও কোন দু’দিন ছুটি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সরকারি সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে তেল কিনে দেশে ভর্তুকি দিয়ে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করার ফলে ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে নেপাল অয়েল কর্পোরেশনকে। সে কারণেই সংস্থাটি নেপাল সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়েছে।

এদিকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম আকাশচুম্বী হাওয়ায় ভারতের অবস্থাও শোচনীয়। গত ২২ মার্চের পর থেকে ভারতীয় তেল সংস্থাগুলি এক নাগাড়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে আসছিল। যদিও গত ১২ দিন এদেশে খনিজ তেলের দাম অপরিবর্তিত। তবে পরিবহণ জ্বালানির দরবৃদ্ধির এই থমকে যাওয়া পরিস্থিতি আর ক’দিন বজায় থাকে এখন তাই দেখার।

সঙ্গে থাকুন ➥