অ্যাডভেঞ্চার রাইডের ইচ্ছা থাকলেও বাজেটে শখ আটকে? সেরা থ্রিলের জন্য এই সেকেন্ড-হ্যান্ড বাইকগুলি দেখতে পারেন

একটা সময় সাধ্যের মধ্যে অ্যাডভেঞ্চার বাইক বলতে শুধুমাত্র Royal Enfield Himalayan-কেই লোকে চিনতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে পরিস্থিতি। বিগত দু-তিন বছরের মধ্যে অ্যাডভেঞ্চার বাইকগুলির জনপ্রিয়তা…

একটা সময় সাধ্যের মধ্যে অ্যাডভেঞ্চার বাইক বলতে শুধুমাত্র Royal Enfield Himalayan-কেই লোকে চিনতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে পরিস্থিতি। বিগত দু-তিন বছরের মধ্যে অ্যাডভেঞ্চার বাইকগুলির জনপ্রিয়তা বহুলাংশে বেড়েছে। আর এই জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করেই একের পর এক প্রাইস রেঞ্জে আত্মপ্রকাশ করছে দূর-দূরান্তে চলার উপযোগী এই ধরনের বাইক। এমনকিHonda CB 200X কিংবা Suzuki V Storm SX কমিউটার হলেও অ্যাডভেঞ্চার বাইকের চেহারায় মুক্তি পেয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার রাইডের ইচ্ছা কিন্তু বাজেটে শখ আটকে? থ্রিলের জন্য সেরা পাঁচ সেকেন্ড-হ্যান্ড বাইকের তালিকা এই প্রতিবেদনে দেখে নিতে পারেন আপনিও।

Hero Xpulse 200

সবচেয়ে কম দামি ও সস্তায় যদি অ্যাডভেঞ্চার বাইক কিনতে চান সেক্ষেত্রে Hero Xpulse 200 অন্যতম ভালো অপশন। হালকা ওজনের এই বাইক অফ রোডে চলাচলের জন্য উপযুক্ত। এই বাইকটিকে চলার শক্তি যোগায় ১৯৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। ফাইভ স্পীড গিয়ার বক্স যুক্ত এই ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ১৭.৮ বিএইচপি শক্তি ও ১৬.৪৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। যদিও বর্তমানে হিরো মোটরস এর আরো খানিকটা শক্তিশালী ইঞ্জিন যুক্ত Xpulse 200 4V মডেল বাজারে এনেছে। এতে রয়েছে চার ভালব যুক্ত ইঞ্জিন। পুরনো মডেলের অবস্থা অনুসারে ৮৫ হাজার থেকে ১.২ লাখ টাকায় একটি সেকেন্ড হ্যান্ড Xpulse 200 পাওয়া সম্ভব।

Royal Enfield Himalayan

অ্যাডভেঞ্চার সেগমেন্টের বাইক হিসেবে বরাবরই জনপ্রিয়তা রয়েছে রয়্যাল এনফিল্ডের এই বাইকটির। ২০১৬ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে হিমালয়ান বরাবরই এই সেগমেন্টে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বাইকগুলির মধ্যে একটি। ৪১১ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন একে চলার শক্তি যোগায়। ইঞ্জিনের আউটপুট ২৪.৩ বিএইচপি ও ৩২ এনএম। সাথে রয়েছে পাঁচ ধাপ যুক্ত গিয়ার বক্স। উঁচু নিচু পার্বত্য অঞ্চলে চলার জন্য লম্বা সাসপেনশন, ২১ ইঞ্চির চাকা, সুইট যুক্ত এবিএস এই সবকিছুই হিমালয়নকে করে তুলেছে অনবদ্য। বাইকের অবস্থা অনুযায়ী একটি সেকেন্ড হ্যান্ড হিমালয়ান মডেলের দাম ৯০ হাজার টাকা থেকে ২.২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে আমরা অপেক্ষাকৃত কম পুরনো BS6 মডেল কেনার পরামর্শ দেব।

KTM 390 Adventure

অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে KTM এর। আর ভারতবর্ষে এই নির্মাতার প্রথম অ্যাডভেঞ্চার সেগমেন্টের মোটরসাইকেল হলো KTM 390 Adventure। যদিও বাইকটির চাকায় স্পোক এর পরিবর্তে অ্যালয়ের ব্যবহার করা হয়েছে তবুও উচু-নিচু রাস্তায় স্বাচ্ছন্দের সাথে একে নিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব। বাইকটিকে চলার শক্তি যোগায় ৪৩ বিএইচপি পাওয়ার ও ৩৭ এনএম টর্ক যুক্ত ৩৭৩ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। সাথে রয়েছে সিক্স স্পিড স্পীড ট্রান্সমিশন বক্স। একটি পুরনো বাইকের দাম ২.৬ লাখ থেকে ৩.৫ লাখ টাকা ও পর্যন্ত হতে পারে।

BMW G 310 GS

এই জার্মান নির্মাতার সবচেয়ে কম শক্তিশালী অ্যাডভেঞ্চার বাইক এটি। KTM এর বাইকটির মতোই এই বাইকটিও অফ রোডের থেকে লম্বা রাস্তা ভ্রমণ করার জন্য বেশি উপযোগী। BMW G 310GS এর মধ্যে ৩১৩ সিসির লিকুইড কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন লাগানো রয়েছে। ছয় স্পীড গিয়ার বক্স যুক্ত এই ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ৩৩.৫ বিএইচপি ক্ষমতা ও ২৮ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। ইঞ্জিনের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হাতে থাকা থ্রটেলের সঙ্গে এক ধরনের সেন্সর যুক্ত অবস্থায় থাকে যা বাইকের ECU কে নির্দেশ পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। একটি পুরনো BMW G 310GS বাইক মোটামুটি ভাবে ২.৩ লাখ থেকে ৩ লাখের মধ্যে পাওয়া সম্ভব।

KTM 250 Adventure

KTM 390 Adventure এর ছোট ভাই হিসাবে আত্মপ্রকাশ করা 250 Adventure মডেলটি প্রকৃতপক্ষে প্রায় একই ডিজাইন ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এছাড়াও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ও সাথে অফ রোডিং মোড এই বাইকে অতিরিক্ত ভরসা যুগিয়েছে। এই মোডের সাহায্যে পিছনের চাকা থেকে এবিএস বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব। যদিও 390 Adventure এ থাকা রাইড-বাই-ওয়ার প্রযুক্তি এখানে অনুপস্থিত। এই বাইকটির প্রাণভোমরা হল ২৪৮ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। যার সর্বোচ্চ পাওয়ার ও টর্ক যথাক্রমে ২৯.৫ বিএইচপি ও ২৪এনএম। সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স যুক্ত এই বাইকে রয়েছে স্লিপার ক্লাচ। একটি পুরনো সেকেন্ড হ্যান্ড 250 Adventure মোটামুটি ভাবে দু”লাখ টাকা থেকে ২.৫ লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া সম্ভব।