Maruti Suzuki-র প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি ভারতে লঞ্চ হবে 2024 সালে, ফুল চার্জে যাবে 550Km

এসইউভি (SUV)-র পর ভারতের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি সংস্থা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র বর্তমানে নজর বৈদ্যুতিক সেগমেন্টে। সদ্য শেষ হওয়া অটো এক্সপো ২০২৩-এ যার ইঙ্গিত স্পষ্ট।…

এসইউভি (SUV)-র পর ভারতের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি সংস্থা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র বর্তমানে নজর বৈদ্যুতিক সেগমেন্টে। সদ্য শেষ হওয়া অটো এক্সপো ২০২৩-এ যার ইঙ্গিত স্পষ্ট। সেখানে ইন্দো-জাপানি সংস্থাটি ৫৫০ কিলোমিটার রেঞ্জ-সহ eVX নামক একটি কনসেপ্ট ইভি প্রদর্শন করেছে। যার প্রোডাকশন ভার্সন সংস্থাটির প্রথম ইলেকট্রিক এসইউভি গাড়ি হিসাবে সামনের বছর ভারতে আসতে চলেছে। আর এখন মারুতির জাপানি অংশীদার সুজুকি মোটর (Suzuki Motor) ঘোষণা করেছে যে, আগামী সাত বছরে তারা ছয়টি ইলেকট্রিক গাড়ি ভারতের বাজারে লঞ্চ করবে।

৪০ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার সহ মারুতি সুজুকি বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা। ২০৩০-এর মধ্যে তারা কার্বনের নির্গমন রোখার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ইন্দো জাপানি সংস্থাটি জানিয়েছে, “অটো এক্সপো ২০২৩-এ ঘোষণা করেছিলাম যে ২০২৪ অর্থবর্ষে আমরা এদেশে ব্যাটারি চালিত এসইউভি নিয়ে আসবো। এই দশকের শেষে ভারতে আমাদের বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা হবে ছয়।”

মারুতি সুজুকির তরফে জানানো হয়েছে, ২০৩০-এর মধ্যে সংস্থার বিক্রিত যানবাহনের ১৫ শতাংশ বৈদ্যুতিক এবং ২৫ শতাংশ হাইব্রিড ইলেকট্রিক ভেহিকেল হবে। তবে কেবল ব্যাটারি চালিত গাড়ি নয় পাশাপাশি সিএনজি, বায়োগ্যাস এবং ইথানাল জ্বালানি চালিত গাড়ির দিকেও ঝোঁক বাড়াচ্ছে সংস্থাটি। এই প্রসঙ্গে মারুতি সুজুকি বলেছে, “কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন হ্রাস করা ছাড়া পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব নয়। যা ২০৩০ এর মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা সম্ভব না হলেও ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করবো আমরা৷”

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে দশটির বেশি সিএনজি গাড়ি বিক্রি করে মারুতি। অটো এক্সপো ২০৩২-এ WagonR-এর একটি ফ্লেক্স-ফুয়েল ভার্সন প্রদর্শন করেছে সংস্থা। যদিও বায়োগ্যাস চালিত কোন গাড়ি এখনও বাজারে আনেনি তারা। এক্ষেত্রে সুজুকির বক্তব্য, “সুজুকির সিএনজি মডেলে বায়োগ্যাস ব্যবহার করা হতে পারে। বর্তমানে এদেশের বাজারে ৭০ শতাংশ সিএনজি গাড়ি আমাদের সংস্থার।” বায়ো গ্যাসের গুণমান বিচার করার জন্য ‘ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড অ্যান্ড বনস ডেয়ারি’-র সাথে গাঁটছড়া বেধেছে জাপানি সংস্থাটি।