বর্তমান সময়কার স্মার্টফোন মানেই হাজার হাজার এমএএইচ (mAh) ক্যাপাসিটির ব্যাটারি এবং ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির উপস্থিতি। ফলে নতুন ফোন কেনার পর, আমরা অনেকেই সেটিতে চোখের পলকে চার্জ হওয়ার সুবিধার পাশাপাশি ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে থাকি। কিন্তু মুশকিল হয় স্মার্টফোনের বয়েস বাড়ার পর! মুঠোফোন একটু পুরোনো হলেই তা চার্জ হতে সময় নেয়, অন্যদিকে ব্যাটারি লেভেলও খুব তাড়াতাড়ি কমতে থাকে। কেন এই সমস্যা? আসলে স্মার্টফোন চার্জ করার সময় আমরা এমন অনেক কাজ করি যেগুলি ক্ষতিকর বলে মনেই হয়না। এদিকে চার্জিংয়ের কিছু অভ্যাসই ব্যাটারির কর্মক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। তাই ফোনের ব্যাটারির সঠিক যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। সেক্ষেত্রে আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমনই কিছু অভ্যাস সম্পর্কে কথা বলব যা স্মার্টফোন চার্জ করার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতেই হবে। এতে করে স্মার্টফোনের চার্জিং স্পিড উন্নত হবে, ব্যাটারির আয়ু বাড়বে এবং আপনি স্মার্টফোনটিকে ব্যাটারি সংক্রান্ত অতিরিক্ত সমস্যা বা অন্যান্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতেও সক্ষম হবেন।
চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে পাল্টান এই তিন অভ্যাস, পুরোনো হলেও স্মার্টফোনে হবেনা ব্যাটারির সমস্যা
১. কেস দিয়ে ফোন চার্জ করা: বেশিরভাগ স্মার্টফোন ইউজারের একটি সাধারণ অভ্যাস হল কভার বা কেস লাগানো অবস্থাতেই স্মার্টফোন চার্জ করা। কিন্তু এটি সঠিক কাজ নয়। কভার বা কেস সহযোগে ফোন চার্জ করা হলে তা ব্যাটারিকে অতিরিক্ত গরম করে তোলে এবং কানেক্টর ব্রেকেজের মত সমস্যার উদ্রেক করতে পারে। আর এই সামান্য ভুলের কারণেই ব্যাটারির পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব পড়ে ধীরে ধীরে তার আয়ু কমতে থাকে এবং চার্জের স্পিড কমে যেতে থাকে।
২. ব্যাটারি লেভেল একেবারে শেষ হলে চার্জ করা: চার্জ করার আগে স্মার্টফোনের ব্যাটারি লেভেল একেবারে শেষ করে দেওয়া কিন্তু খুবই খারাপ অভ্যাস। এতে ব্যাটারির ওপর অনেক চাপ পড়ে। তাই আপনি যদি প্রতিদিন ফোনের ব্যাটারি লেভেল ৫ শতাংশের নিচে নামলে তবে চার্জে বসান, তাহলে সেই অভ্যাস পরিবর্তন করুন; নচেৎ ব্যাটারি অনেক দ্রুত ড্রেন হবে। এক্ষেত্রে ব্যাটারি লেভেল ১৫-২০% হলেই স্মার্টফোন চার্জ করা শ্রেয়।
৩. ফাস্ট চার্জারের দৈনিক ব্যবহার: এখনকার প্রায় সমস্ত ফোনই ফাস্ট চার্জিং ফিচার বহন করে। তবে আপনার স্মার্টফোনে যদি ৪০ ওয়াট বা তারও বেশি স্পিডে ফাস্ট চার্জিংয়ের ক্ষমতা থাকে, তাহলেও সেই সুবিধা রোজ উপভোগ না করাই ভালো। কারণ এই অভ্যাস এক বছরের ব্যবহারের মধ্যেই স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষমতার অবনতি ঘটাবে। তাই প্রয়োজন ছাড়া ফাস্ট চার্জার ব্যবহার না করে একটি বিকল্প অথেন্টিক চার্জার কাজে লাগান।