World Record: গাড়ি নয়! গাড়ির শুধু নম্বর প্লেট বিক্রি হল 122 কোটি টাকায়, কে কিনল?

জানেন কি আমাদের দেশের পরিবহন দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী গাড়ির নম্বর প্লেটের জন্য কত টাকা খরচ করতে হয়? মোটামুটি ভাবে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যেই মেলে…

জানেন কি আমাদের দেশের পরিবহন দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী গাড়ির নম্বর প্লেটের জন্য কত টাকা খরচ করতে হয়? মোটামুটি ভাবে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যেই মেলে নাম্বার প্লেট এবং স্মার্ট কার্ড। এই নাম্বার প্লেটের দাম যদি হয় কয়েক শো কোটি টাকা!! শুনেই নিশ্চয়ই ভীরমি খাবেন অনেকে। দুবাইতে আয়োজিত হওয়া এক নম্বর প্লেটের নিলামে এমনই দাম উঠেছে। অতীতে নানা সময় বিলাসবহুল গাড়ি মালিকরা গাড়ির দামের ১০ গুণ টাকায় নম্বর প্লেট কিনে খবরের শিরোনামে এসেছেন । তবে এবার সবকিছুতেই ঝাপিয়ে গেল দুবাইয়ের ঘটনা।

“মোস্ট নোবেল নাম্বারস” নামে এই নিলামের আসর প্রতি বছরের মত এবারেও বসেছিল দুবাইয়ের মাটিতে। সেখানেই এক ব্যক্তি পি ৭ নম্বর প্লেটটি ৫৫ মিলিয়ন দিরহম মূল্যে নিজের জিম্মায় আনেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১২২.৫ কোটি টাকা। উদ্যোক্তাদের দাবি অনুযায়ী পূর্বের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে এটি। স্বাভাবিকভাবেই গিনিস বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠেছে এই ঘটনার।

দুবাইয়ের এক বিলাসবহুল রিসোর্টে নিলামের এই সমস্ত অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। নিলামের শুরুতেই এই নম্বর প্লেটের দর ওঠে দেড় কোটি দিরহাম। চোখের নিমেষেই তা বেড়ে হয় ৩ কোটিতে। এমনকি এই দামে নম্বর প্লেটটি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন টেলিগ্রাম অ্যাপের কর্ণধার পাভেল ভ্যালিরিচিভ দুরুভ। তবে তাকে পেছনে ফেলে সাড়ে ৫ কোটি দিরহামের সর্বোচ্চ দর হাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। যদিও জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি McLaren P7 সুপারকারের মালিক।

নিলামের এই অনুষ্ঠানে পি ৭ ছাড়াও এএ ১৯, এএ ৮০, ও ৭১, ডব্লিউ ৭৮, জেড ৩৭, এক্স ৩৬, এইচ ৩১, এন ৪১ এবং জে ৫৭ এই নম্বরপ্লেট গুলিও বিক্রি করা হয়। ও ৭১ এবং এএ ১৯ প্লেট দুটির সর্বোচ্চ দর ওঠে যথাক্রমে ৪.৯ মিলিয়ন দিরহাম ও ১.৫ মিলিয়ন দিরহম। এছাড়াও কিউ ২২২২২ নামের এক অদ্ভুত সংখ্যার নাম্বার প্লেট বিক্রি হয় ৯৭৫,০০০ দিরহামে। এই নাম্বার প্লেটটি বিশ্বজোড়া খ্যাতিসম্পন্ন Hammer গাড়ির জন্যই তার মালিক কেনেন।

এই নিলাম থেকে সংগৃহীত অর্থ গরীব এবং গৃহহীন মানুষদের খাদ্যদ্রব্য পৌছে দিতে এক মিশনের পিছনে খরচ করা হবে। ইউনাইটেড আরব এমিরেটস এর প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী- শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম এর নেতৃত্বে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।