অসহ্য গরমে ভরসা এখন এসি, ‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল’ রাখতে নজর থাক এই বিষয়গুলির দিকে

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা সত্যি করে গ্রীষ্মের শুরুতেই প্রায় গোটা দেশ চলে গিয়েছে তাপপ্রবাহের কবলে। পরিস্থিতিকে আরও জোরালো করেছে অত্যাধিক জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি। ফলে বেড়েছে অস্বস্তি সূচক।…

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা সত্যি করে গ্রীষ্মের শুরুতেই প্রায় গোটা দেশ চলে গিয়েছে তাপপ্রবাহের কবলে। পরিস্থিতিকে আরও জোরালো করেছে অত্যাধিক জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি। ফলে বেড়েছে অস্বস্তি সূচক। এমন অবস্থায় নিজেদের বাসস্থান এমনকি গাড়ির অন্দরমহলকেও ঠান্ডা রাখা বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। হিট ওয়েভের মধ্যে থাকা বিভিন্ন অঞ্চলগুলিতে ব্যবহার করা গাড়িগুলিতে বাতানুকূল যন্ত্রের কার্যকরী ক্ষমতা উন্নত না হলে তা যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন করতে পারে। গাড়ির এয়ার কন্ডিশনারকে সুস্থ সবল রাখতে এই কয়েকটি টিপস মেনে চলুন আর গরমের মধ্যেও ঠান্ডার অনুভূতি নিয়ে পাড়ি দিন পছন্দের স্থানে।

রেফ্রিজারেন্ট এর ফ্লুইড ভর্তি করা

গাড়ির মধ্যে ব্যবহৃত বাতানুকূল যন্ত্রের সঙ্গে লাগানো থাকে একটি রেফ্রিজারেন্ট। তার মধ্যে থাকা ঠান্ডা করার ফ্লুইডের পরিমাণ নির্ধারিত আয়তনের তুলনায় কমে এলে এসি থেকে কার্যত গরম হাওয়া বেরোতে দেখা যায়। এই ফ্লুইড এর পরিমাণ বাড়িতে বসেই পরখ করতে পারেন আপনি। অবশ্য প্রয়োজনে নিকটবর্তী সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়ে এই বিষয়টি দেখিয়ে আসা যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন কোনোভাবেই রেফ্রিজারেন্ট এর মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্লুইড না থাকে। অতিরিক্ত হলে কুলিং সিস্টেমের কাজ ব্যাহত হয়।

এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন

যেহেতু যেকোন বাতানুকূল যন্ত্র গরম হাওয়া শুষে নিয়ে ঠান্ডা হাওয়া মুক্ত করে, তাই সেটি ঠান্ডা করার পাশাপাশি এয়ার ফিল্টারের কাজ করে থাকে। সেই কারণেই এর সঙ্গে যুক্ত থাকে এয়ার ফিল্টারের জালিকা, যেগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই ধূলিকণা দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তার ফলে এসির বাতাসের তীব্রতা যথেষ্ট বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। গাড়ির কেবিনের মধ্যে লাগানো এই এয়ার ফিল্টারকে আপনি নিজের হাতেই অতি সহজে বদলাতে পারেন কিংবা প্রয়োজনে এই কাজটি অথরাইজড সার্ভিস সেন্টার থেকেও করানো সম্ভব।

ছায়া জায়গায় গাড়ি পার্ক করা

রৌদ্রোজ্জ্বল খোলাস্থানে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি পার্ক করা থাকলে কেবিনের মধ্যে তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু গাড়ির সামনে বড় উইন্ডশিল্ড এবং দুপাশের জানালা গুলি সবগুলোই কাঁচের তৈরি তাই এর মধ্যে দিয়ে বাইরের সূর্যালোক সহজেই ভেতরের প্রবেশ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারলেও তা কোনোভাবেই বাইরে বের হতে পারে না। কেবিনের এমন অতিরিক্ত উত্তাপ গাড়ির এয়ারকন্ডিশনের মাধ্যমে দ্রুত ঠান্ডা করা মুশকিল। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে ছায়াযুক্ত কোনো স্থানে গাড়ি পার্ক করতে পারলে ভালো। এছাড়াও পার্ক করা অবস্থায় সামনের বড় উইন্ড শিল্ডটিকে ঢেকে দিতে পারলেও খানিকটা সুরাহা মেলে।

এসির টেম্পারেচার সর্বনিম্ন করা থেকে বিরত থাকুন

দীর্ঘক্ষণ পার্ক করা গাড়িতে তৎক্ষণাৎ উঠেই এসির তাপমাত্রা সবচেয়ে কম করে দেওয়াটা নির্বুদ্ধিতার কাজ। এমন পরিস্থিতিতে কুলিং সিস্টেমের উপর প্রবল চাপ পড়লেও তা যথার্থ কার্যকারিতা প্রদর্শন করতে পারে না। গাড়ির মধ্যে থাকা একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের ফলে বাইরের হাওয়া অতি দ্রুত কেবিনে প্রবেশ করতে পারে। এই সিস্টেমটি প্রথমে চালু করে এসির ফ্যানের হাওয়া বাড়িয়ে দিয়ে সবকটি জানলা খুলে রাখুন। কয়েক মিনিট গাড়ি চলার পর বাতানুকূল যন্ত্রটি চালু করলে অতি দ্রুত কেবিন ঠান্ডা করা সম্ভব হয়।

মিক্স সিগন্যাল এড়িয়ে চলুন

অনেক সময় এসির তাপমাত্রা কমানোর জন্য এর ডায়াল নবটিকে মাঝামাঝি অবস্থায় রাখা হয়। এটি আদতে গাড়ির এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের জন্য সমস্যাদায়ক। এর ফলে কেবিনের ভেতরের হওয়া ঠান্ডা হওয়ার পরিবর্তে গরম হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই এসির তাপমাত্রা কমিয়ে রেখে প্রয়োজনে ফ্যানের গতিবেগ একদম কম রাখাই বাঞ্ছনীয়। এর ফলে কুলিং সিস্টেম তার সঠিক কাজ করতে পারবে।