টিনের ক্যান বলে ঠাট্টা, তাও কোন জাদুবলে বছরের পর বছর গাড়ি বিক্রিতে শীর্ষে Maruti

টাটা মোটরস, মাহিন্দ্রা কিংবা হুন্ডাই ভারতের মাটিতে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে পারলেও মারুতি সুজুকির চাহিদা বরাবরই শীর্ষে। প্রতিমাসে বিক্রির নিরিখে অবলীলায় দেশের ফার্স্ট বয় এর…

টাটা মোটরস, মাহিন্দ্রা কিংবা হুন্ডাই ভারতের মাটিতে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে পারলেও মারুতি সুজুকির চাহিদা বরাবরই শীর্ষে। প্রতিমাসে বিক্রির নিরিখে অবলীলায় দেশের ফার্স্ট বয় এর দখলদারিত্ব নিজেদের কাছে রেখেছে ইন্দো-জাপানি এই সংস্থা। তবে গ্রাহক এবং গাড়ির বিশেষজ্ঞরা মারুতি সুজুকির মডেলগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়েন না। অনেকে টিনের ক্যান বলে ঠাট্টা করেন।বাস্তবিক দিক থেকেই মারুতির তৈরি গাড়িগুলির সেফটি রেটিং অনেকটাই নিচে। তবে কি এই সমালোচনা কোনোভাবেই মারুতির বিক্রিতে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ? কোন জাদু বলে একটানা নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পেরেছে তারা? উত্তর মিলবে এই প্রতিবেদনে।

ডিলারশিপ নেটওয়ার্ক

ভারতে সবচেয়ে বড় ডিলারশিপ নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে মারুতি। এদেশের বেশিরভাগ বড় শহর এবং মফস্বলে তাদের শোরুম চোখে পড়ে। ২০২২ সালের নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী গোটা দেশজুড়ে মারুতির ডিলারশিপের সংখ্যা ৩৫০০ এর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। ধরুন যদি প্রতিটি ডিলারশিপ এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ন্যূনতম দুটি গাড়িও বিক্রি করা যায় তবে সারা মাসে বিক্রি ৭০০০ পেরিয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই ডিলারশিপগুলির প্রতিমাসে সম্মিলিত গাড়ি বিক্রির পরিমাণ অনেকটাই বেশি।

প্রচুর অপশন

দেশের সবচেয়ে বড় ডিলারশিপ নেটওয়ার্কের অধিকারী মারুতি সুজুকি যদি তাদের শোরুমগুলিতে একাধিক মডেল বিক্রির জন্য রাখতে না পারলে কি কোনো লাভ হবে? এই বিষয়টিতেই অধিক গুরুত্ব দিয়েছে তারা। ভারতে এরিনা এবং নেক্সা ডিলারশিপ মিলিয়ে মোট গাড়ির সংখ্যা ১৫। প্রতিটি মডেল আবার একাধিক ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ। অর্থাৎ বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকদের জন্যই নানা অপশন রয়েছে তাদের হাতে। এমনকি সিএনজি চালিত গাড়ির দুনিয়াতেও সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মডেল রয়েছে মারুতির ঝুলিতে। এই পোর্টফোলিও বাড়াতে ইতিমধ্যেই Grand Vitara, Fronx এবং Jimny এই তিনটি মডেল যুক্ত করেছে তারা।

সার্ভিস এবং ভরসা

অনেকেই বলেন, চলার জন্য রাস্তা খুঁজে না পেলেও মারুতির সার্ভিস সেন্টার নিশ্চই পাবেন। শুধুমাত্র একাধিক শোরুমের মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক মডেল বিক্রি করেই নিজেদের কার্যসিদ্ধির পথে না হেঁটে গ্রাহকদের পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রচুর সার্ভিস সেন্টার এযাবৎ কাল পর্যন্ত চালু করেছে মারুতি। শহরের ঝাঁচকচকে দুনিয়া পেরিয়ে মফস্বল অঞ্চলের মধ্যেও মিলবে তাদের সার্ভিস সেন্টার। এবং এই সমস্ত সেন্টারগুলিতে দক্ষ কর্মচারীর দ্বারাই গ্রাহকদের গাড়ির দেখভাল করা হয়ে থাকে। আরেকটি বিষয় হল জাপানি প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে তৈরি যে কোনো গাড়ির ইঞ্জিনসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলির ভরসাযোগ্য পারফর্মেন্স। মারুতি সুজুকির এন্ট্রি লেভেল থেকে শুরু করে টপ মডেল সবেতেই উন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিন ও অন্যান্য যন্ত্র দেখতে পাওয়া যায়। এই সমস্ত কারণেই গাড়ি বিক্রির নিরিখে মারুতি সুজুকি আজও শীর্ষস্থানে।