চীন ব্যান করছে iPhone! সরকারী কর্মচারীদের এই স্মার্টফোন ব্যবহার না করার নির্দেশ, জানুন বিশদ

এতদিন পর্যন্ত ভারত, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় বাজারে কোণঠাসা হয়েছে চীন। বিগত কয়েক বছরে প্রচুর চীনা প্রোডাক্ট, সার্ভিস ইত্যাদির ওপর বারবার অভিযোগের আঙুল উঠেছে,…

এতদিন পর্যন্ত ভারত, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় বাজারে কোণঠাসা হয়েছে চীন। বিগত কয়েক বছরে প্রচুর চীনা প্রোডাক্ট, সার্ভিস ইত্যাদির ওপর বারবার অভিযোগের আঙুল উঠেছে, এমনকি জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞাও। তবে এবার খোদ চীনই জনপ্রিয় বৈদেশিক প্রোডাক্ট বয়কট করার পথে হাঁটছে বলে মনে হচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (WSJ) আজ বুধবার একটি রিপোর্টে জানিয়েছে যে, চীন, সম্প্রতি সেদেশের কেন্দ্রীয় তথা সরকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের Apple iPhone এবং অন্যান্য বিদেশী ব্র্যান্ডের ডিভাইস কাজের জন্য ব্যবহার না করার বা সেগুলি অফিসে সঙ্গে না আনার নির্দেশ দিয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি টেক তথা নেটদুনিয়ার জন্য একটি চমকপ্রদ ঘটনা!

ঠিক কী করতে চাইছে চীন?

চীনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে খ্যাতনামা অ্যাপল (Apple) কোম্পানি ছাড়া আর অন্য কোন বৈদেশিক ফোন নির্মাতার নাম উল্লেখ করা হয়নি। এক্ষেত্রে অ্যাপল এবং চীনের স্টেট কাউন্সিল ইনফরমেশন অফিস, কেউই এই বিষয়ে মিডিয়ার প্রশ্নে সাড়া দেয়নি। তাই ঠিক কী ঘটতে চলেছে বা দেশটি কী ভাবছে তা স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্লেষকরা এই খবর থেকে মনে করছেন যে, যেহেতু আগামী সপ্তাহে নতুন আইফোন লাইনআপ (পড়ুন Apple iPhone 15 সিরিজ) চালু হতে চলেছে, সেক্ষেত্রে এই সময় দাঁড়িয়ে চীনের সিদ্ধান্ত উত্তেজনা বাড়াবে।

আসলে সাম্প্রতিক সময়ে চীনও ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে আরও উদ্বিগ্ন হয়েছে এবং বিভিন্ন কোম্পানিগুলির জন্য প্রয়োজনীয় নতুন আইন এবং বিধিবিধান তৈরি করেছে। তবে বিগত বছরগুলিতে নানা অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে চীনকে ব্যবসায়িক প্যাঁচে ফেলেছিল, চীন, নিজের নতুন সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে তার পাল্টা চাল খেলতে সক্ষম হয় কিনা বা হলেও কতটা, সেটাই এখন দেখার!

বারবার চীনকে প্রতিযোগিতার মুখে ফেলেছে আমেরিকা

বিগত তিন বছরের কাছাকাছি সময়ে চীন-মার্কিন উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। কারণ ওয়াশিংটন, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নির্মাণ এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে চীনের অ্যাক্সেস ব্লক করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যান করা হয়েছে বহু জনপ্রিয় চীনা প্রোডাক্ট এমনকি কোম্পানিও। তাছাড়াও বহু সংস্থা এই দেশের থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্যত্র নিজের কাজ করতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, চীন, অ্যাপলের অন্যতম বড় বাজার এবং তারা কোম্পানিটির আয়ের প্রায় এক-পঞ্চমাংশের উৎস। তাই এখন হঠাৎ তারা আইফোন সম্পর্কে বিরূপ সিদ্ধান্ত নিলে বাজারে তার বড় প্রভাব পড়বেই।