টোল বুথে ভোগান্তির দিন শেষ, সারাদেশে আসছে জিপিএস ভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে টোল সংগ্রহের ব্যবস্থা

টোল প্লাজা পেরোনোর জন্য লম্বা লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা আর গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে না। টোল প্লাজা ঘিরে এই যানযট ও ভোগান্তির দিন এবার…

টোল প্লাজা পেরোনোর জন্য লম্বা লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা আর গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে না। টোল প্লাজা ঘিরে এই যানযট ও ভোগান্তির দিন এবার শেষ হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও ছোট-মাঝারি শিল্পমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী আজ জানিয়েছেন যে, সরকার সারা দেশে যানবাহনের নিবির্ঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে টোল সংগ্রহ করার চুড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী বলেছেন, ভারত যাতে আগামী দু’বছরের মধ্যেই টোল বুথ মুক্ত হয়, তা এই প্রযুক্তি সুনিশ্চিত করবে। এটি কিভাবে কাজ করবে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গডকড়ী জানিয়েছেন, যানবাহনের চলাচলের ওপর ভিত্তি করে টোলের পরিমান সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে।

তিনি এও বলেছেন, এখন সমস্ত বাণিজ্যিক যানবাহন ভেহিকেল ট্র্যাকিং সিস্টেমের সাথে আসছে। তবে পুরানো গাড়িগুলিতেও এই ধরণের কোনো সুবিধা নেই। তাই এই গাড়িগুলিতে জিপিএস প্রযুক্তি স্থাপনের জন্য সরকার কিছু পরিকল্পনা নিয়ে আসবে।

গডকড়ী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মার্চ মাসের মধ্যেই টোল আদায়ের পরিমাণ ৩৪,৫০০ কোটি টাকায় পৌছে যেতে পারে। আর টোল আদায়ের জন্য জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে, আগামী পাঁচ বছরেই টোলের আয় হবে ১,৩৪,০০০ কোটি টাকা।

ASSOCHAM Foundation Week Programme-এ গডকড়ী তার বক্তব্যে, শিল্পের উন্নতিই যে ভারতে কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচন করতে পারবে, তার ওপর আলোকপাত করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ভারতে শুধু শহুরাঞ্চলে শিল্প কেন্দ্রীভূত হওয়ায় বৃদ্ধির হার বাড়ানোর জন্য শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণও অপরিহার্য। কারণ ক্রমবর্ধমান নগরায়ন দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা এবং অন্যান্য শহরগুলিতে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নে পাবলিক-প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট বা সরকারী-বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাও তিনি প্রকাশ করেছেন।