Team India Roadshow: বাঁদরের মত গাছেই ঝুলে পড়লেন ভক্তরা, হঠাৎ করে দেখে চমকে গেলেন রোহিত-বিরাট

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দল যখন খোলা বাসে করে নরিম্যান পয়েন্ট থেকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম পর্যন্ত বিজয় প্যারেডে চড়েছিল, তখন পুরো মুম্বাই শহর রাস্তায় ভিড় করেছিল। বাসে…

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দল যখন খোলা বাসে করে নরিম্যান পয়েন্ট থেকে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম পর্যন্ত বিজয় প্যারেডে চড়েছিল, তখন পুরো মুম্বাই শহর রাস্তায় ভিড় করেছিল। বাসে থাকা প্রিয় খেলোয়াড়কে এক ঝলক দেখার জন্য অধৈর্য হয়ে পড়েন ভক্তরা। এদিকে একটি গাছে উঠে লুকিয়ে ছিল অনেক ভক্ত। খেলোয়াড় ভর্তি খোলা বাসটি গাছের পাশ দিয়ে যেতেই সামনের ডালে শুয়ে মোবাইলে প্লেয়ারদের ছবি তুলতে শুরু করেন তিনি। এই ‘পাগলামি’ দেখে ভারতীয় খেলোয়াড়রাও তাদের হাসি থামাতে পারেননি।

আগের সূচি অনুযায়ী, বিজয় মিছিল বিকেল ৫টায় নরিম্যান পয়েন্টের ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস (এনসিপিএ) থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলটি নয়াদিল্লি থেকে দেরিতে পৌঁছায়, যার ফলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পরেই প্যারেড শুরু হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই বিজয় মিছিল দেখতে মেরিন ড্রাইভে পৌঁছায় হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমী।

আজ সকালে বার্বাডোজ থেকে নয়াদিল্লি পৌঁছেছে ভারতীয় প্রতিনিধি দল, সেখানে তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এরপর বিকেল ৩.৪২ মিনিটে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় দলটি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামটি ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল এবং স্টেডিয়ামটি কয়েক মিনিটের মধ্যে ধারণক্ষমতায় পূর্ণ হয়ে যায়। বিকেল ৫টার দিকে স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং অনেক ভক্ত বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। ভারতীয় দলটি ভিস্তারা বিমানে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২ এ পৌঁছেছিল, যেখানে ভারতীয় দলটিকে জল স্যালুট দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে এখানে আসা ক্রিকেটপ্রেমী ও গণমাধ্যমকর্মীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়।

থেমে থেমে বৃষ্টি, প্রচণ্ড আর্দ্রতা এবং আশপাশের এলাকায় হাজার হাজার মানুষের আগমনের কারণে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যারা ওয়াংখেড়ের ভিতরে পৌঁছাতে পেরেছিল তারা খাবার ও জলের অভাব সত্ত্বেও তাদের আসনে আটকে ছিল। বৃষ্টি সত্ত্বেও সমর্থকদের কেউই তাদের আসন থেকে নড়েননি। এদিকে ডিজে হরেক রকমের গান গেয়ে একসময় মনে হচ্ছিল ওয়াংখেড়েতে রেইন-ড্যান্স পার্টি হচ্ছে।