টেলিকম শিল্পে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে ধুঁকতে থাকা BSNL। তবে দুর্বল নেটওয়ার্ক পরিকাঠামোর জেরে যারা জিও, এয়ারটেল ও ভিআই ছেড়ে এসেছিলেন, তারা আবার ফিরতি পথ ধরতে শুরু করেছেন। ফলে গত নভেম্বরে তিন লাখ গ্রাহক হারিয়েছে কোম্পানি। তবে এই পরিসংখ্যান নিয়ে না ভেবে দ্রুত গতিতে ৪জি-র প্রস্তুতি জারি রেখেছে বিএসএনএল। বসানো হচ্ছে নতুন টাওয়ার। কোম্পানির লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৪জি সাইট স্থাপন করা।
রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যে ৬৫ হাজারের বেশি ৪জি টাওয়ার বসিয়ে ফেলেছে কোম্পানি। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী আরও ভালো নেটওয়ার্ক এবং উন্নত মানের পরিষেবা পাবেন বলে দাবি করেছে এই সরকারি টেলিকম অপারেটরটি। সম্প্রতি ট্রাই-এর তথ্য পরিসংখ্যান পেশ হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, নভেম্বরে তিন লাখের বেশি গ্রাহক হারিয়েছে বিএসএনএল। সংখ্যাটা বিএসএনএলের মতো কোম্পানির কাছে ভালোই বড় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে, জিও, এয়ারটেল, ভিআই এর পর চতুর্থ বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর বিএসএনএল। গত বছর জুলাইয়ে বেসরকারি কোম্পানিগুলির ট্যারিফ বৃদ্ধির পর দলে দলে মানুষ যোগ দিয়েছেন বিএসএনএলে। কিন্তু, সময়ের সাথে কল দ্রুপ, দুর্বল নেটওয়ার্ক, বাফারিং ইত্যাদি একাধিক সমস্যায় জর্জরিত ব্যবহারকারীরা। এদিন, সেই সমস্যাগুলি স্বীকারও করেছে কোম্পানি। বিএসএনএল আশস্ত করেছে, যে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হবে।
দেশজুড়ে ৪জি স্থাপনের কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির কর্মকর্তারা। কিন্তু, বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ৪জি থেকে ৫জি-তে স্থানান্তর করে ফেলেছেন। তাদের জন্য বিএসএনএলের ৫জি পরিষেবা কবে আসবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। যদিও কোম্পানির মতে, ৪জি-এর কাজ শেষ হলেই সূচনা হবে ৫জি সাইট বসানোর প্রস্তুতি।