পেট্রোলের দাম অনেক আগেই লিটারে একশোর গন্ডি পেরিয়েছে দেশের বড় বড় শহরে। জ্বালানির চড়া দাম সরাসরি গিয়ে প্রভাব ফেলেছে সাধারণ মানুষের জীবনে। দেশের বেশিরভাগ মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে মোটরসাইকেলের উপর নির্ভর করে থাকে। তাই দামি পেট্রোলের জন্য খরচের বোঝায় জর্জরিত বেশিরভাগ ভারতীয়। এক্ষেত্রে খানিকটা স্বস্তি দিতে পারে উন্নত মাইলেজ। প্রতি লিটারে যদি পাঁচ কিমি পর্যন্ত বেশি রাস্তা চালানো যায় তাতেই বা কম কিসের। চলুন বাইকের মাইলেজ সঠিক পেতে কিছু সহজ টিপস দেখে নেওয়া যাক।
১. গতির নেশা ত্যাগ করুন
দ্রুতগতিতে বাইক চালাতে পছন্দ করেন? তাইলে সেই অভ্যাস আজই ত্যাগ করুন। মোটরসাইকেল হাই-স্পিডে চালালে ইঞ্জিনে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং জ্বালানির খরচ বেড়ে যায়। সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় ৪০-৬০ কিমি গতি মাইলেজের জন্য আদর্শ। এর চেয়ে উচ্চ গতিতে চালালে পেট্রল বেশি পুড়বে।
২. নিয়মিত সার্ভিসিং করান
শুধু বড় সমস্যা এলে তখনই সার্ভিসিং করানো উচিত বলে মনে করেন অনেকে। এমন ধারণা কিন্তু ভুল। নিয়মিত ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন, এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার ও স্পার্ক প্লাগ চেক করানো হলে বাইকের মাইলেজে স্বাভাবিকের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যেতে পারে।
৩. থ্রটল ও ব্রেকের ব্যালেন্স রাখুন
হঠাৎ করে দ্রুত গতিতে থ্রটল খুললে বা বারবার ব্রেক কষলে ইঞ্জিনের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং এর ফলস্বরূপ বেশি জ্বালানি ব্যয় হয়। তাই প্রতিকারে স্মুথ অ্যাক্সিলারেশনের পাশাপাশি ধীরে ধীরে গতি কমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আরও পড়ুনঃ রাত পোহালেই লঞ্চ, বাজার কাঁপাতে আসছে Ola-র প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল
৪. টায়ারে সঠিক বায়ুচাপ বজায় রাখুন
বেশি কিংবা কম প্রেশার থাকলে টায়ারের উপর বেশি ঘর্ষণ হয় এবং ইঞ্জিনকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়, ফলে জ্বালানির খরচ বাড়ে। তাই প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার টায়ারের প্রেসার চেক করে নিলে ভাল।
৫. ট্রাফিকে দাঁড়ালে ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন
ট্রাফিক সিগন্যালে বা দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন। বর্তমান সময়ে আধুনিক বাইকগুলির ইঞ্জিন মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই চালু হয়ে যায়, তাই ইঞ্জিন চালু রেখে দাঁড়িয়ে থাকলে শুধু তেল অপচয় ছাড়া আর কোনও উপকার হবে না।
৬. উন্নত মানের জ্বালানি ব্যবহার করুন
কমদামি বা কেরোসিন মেশানো জ্বালানি ব্যবহার করলে ইঞ্জিনে কার্বন জমে গিয়ে পারফরম্যান্স কমে যায়। ফলে মাইলেজের গ্রাফ নামতে শুরু করে। কতগুলো টাকা বাঁচানোর আশায় ছোট দোকান থেকে নেওয়ার বদলে ভালো মানের পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি নেওয়ার চেষ্টা করুন।