মাঝ আকাশে দ্রুত গতির ইন্টারনেট এখন খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু, ৪০ হাজার ফুট উচ্চতায় কোনও ব্রডব্যান্ড বা টাওয়ার না থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট পাওয়া বেশ জটিল! এই পরিষেবার জন্য মূলত উন্নত প্রযুক্তির উপর ভরসা করে থাকে বিমান সংস্থাগুলি। তাছাড়া মাঝ আকাশে ইন্টারনেট ব্যবহার করা বেশ ব্যয়বহুল। তবে সম্প্রতি এই উদ্বেগ দূর করার জন্য কাজ শুরু করেছে ভারত সরকার।
২০২০ সালের মার্চে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশে পরিচালিত বিমান সংস্থাগুলিকে যাত্রীদের জন্য বিমানের মধ্যে ওয়াই-ফাই পরিষেবা প্রদানের অনুমতি দেয়। লক্ষণীয় বিষয়, এই মুহূর্তে বিমানের মধ্যে সংযোগের জন্য দুটি প্রাথমিক ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয় : এয়ার টু গ্রাউন্ড এবং স্যাটেলাইট।
এয়ার টু গ্রাউন্ড সিস্টেম
সমতলে মোবাইল ডেটা যেমন কাজ করে ঠিক তার বিপরীতে পরিচালিত হয় এই সিস্টেম। সেল টাওয়ারগুলি নীচের দিকে সংকেত প্রক্ষেপণের পরিবর্তে, বিশেষ টাওয়ারগুলি উপরের দিকে সংকেত পাঠায়। বিমানের নীচে থাকা অ্যান্টেনাগুলি এই সংকেতগুলি গ্রহণ করে এবং একটি অনবোর্ড সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়, যা পরে যাত্রীদের ওয়াই-ফাই সরবরাহ করে। এই গ্রাউন্ড টাওয়ারগুলি পরিষেবা প্রদানকারীদের দ্বারা পরিচালিত অপারেশন সেন্টারগুলির সাথে সংযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ কেবল পাঁচটি ধাপে আপনার ফোনকে বানান CCTV, কোনো ক্যামেরা কেনার দরকার নেই
স্যাটেলাইট সিস্টেম
এই সিস্টেমে আবার বিমানের উপরে থাকা অ্যান্টেনাগুলি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী স্যাটেলাইট থেকে সংকেত গ্রহণ করে। যেহেতু বিমান এবং স্যাটেলাইট উভয়ই ক্রমাগত গতিশীল, তাই অ্যান্টেনাগুলি একটি স্থির সংযোগ বজায় রাখার জন্য সামঞ্জস্য করে। এই স্যাটেলাইটগুলি গ্রাউন্ড স্টেশনগুলিতে ডেটা রিলে করে, যা পরিষেবা প্রদানকারীদের দ্বারা যুক্ত থাকা।
বর্তমানে, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিমান সংস্থা বিমানের মধ্যে ওয়াই-ফাই পরিষেবা প্রদান করে। ভারতে, এয়ার ইন্ডিয়া-সহ বেশ কিছু বিমান সংস্থা এই পরিষেবা চালু করছে। কোনও কোনও সংস্থা এই পরিষেবা বিনামূল্যে দেয়, আবার কেউ নির্দিষ্ট ফি চার্জ করে।