নীরজের পর এবার আরশাদের মাও দিলেন বড় মনের পরিচয়, নীরজকে দিলেন নিজের ছেলের মতই ভালোবাসা

টোকিও অলিম্পিকে পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিপক্ষ আর্শাদ নাদিম দুর্ভাগ্যজনকভাবে পঞ্চম স্থানে শেষ করেন। কিন্তু গতকাল প্যারিস অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রোয়ের ফাইনালে পাকিস্তানের নাদিম বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন।

Arshad Nadeem Mother Also Said Neeraj As Her Own Son After Neeraj Mother

ভারত এবং পাকিস্তানের ভাষা এবং সংস্কৃতির মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই মিল আছে। এমনকি ক্রিকেটের উন্মাদনা দুই দেশেই সমানভাবে লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলা রাজনৈতিক উত্তেজনা দুই দেশের খেলাধুলা সহ সংস্কৃতির আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে দূরত্ব তৈরি করেছে। তবে এবার গতকালের অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রো বিভাগে ভারত এবং পাকিস্তানের দাপট দুই দেশকে অনেকটাই কাছে এনে দিয়েছে। নীরাজ চোপড়ার মায়ের পর এবার আর্শাদ নাদিমের মা ভারতীয় তারকা ক্রীড়াবিদকে আপন করে নিলেন।

নীরাজ চোপড়া ভারতের হয়ে দীর্ঘদিন পর ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে ৮৭.৫৮ মিটার জ্যাভলিন থ্রোয়ের মাধ্যমে স্বর্ণ পদক জয় করে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। তবে টোকিও অলিম্পিকে পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিপক্ষ আর্শাদ নাদিম দুর্ভাগ্যজনকভাবে পঞ্চম স্থানে শেষ করেন। কিন্তু গতকাল প্যারিস অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রোয়ের ফাইনালে পাকিস্তানের নাদিম বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই তিনি অলিম্পিকের রেকর্ড ৯২.৯৭ মিটার জ্যাভলিন থ্রো করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান।

এর সঙ্গেই তিনি পাকিস্তানের প্রথম ব্যক্তিগত বিভাগে স্বর্ণপদক জয় করে দেশকে সন্মান এনে দেন। অন্যদিকে টোকিও অলিম্পিকের সোনা জয়ী ভারতের নীরজ চোপড়া ৮৯.৪৫ মিটার জ্যাভলিন থ্রো করে রৌপ্য পদক জয় করেন। এরপর নিজের ছেলের সঙ্গে সঙ্গে আর্শাদ নাদিমের এই সাফল্যেকেও আপন করে নেন নীরাজের মা। তিনি বলেন, “আমরা রৌপ্য পদক জয় নিয়ে খুবই খুশি। এটা আমাদের কাছে সোনা জয়ের মতোই আনন্দ এনে দিয়েছে। তাছাড়া যে স্বর্ণপদক জয় করেছে আরশাদ নাদিম সেও আমার সন্তানের মতো।”

এবার প্যারিস অলিম্পিকে পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র সোনা জয়ীর তারকার মায়ের কাছ থেকেও আন্তরিক বার্তা সামনে এল। তিনি বলেন, “নীরাজ চোপড়া আমার ছেলের মতো। আমি তার জন্যও প্রার্থনা করেছি। সে নাদিমের ভাইয়ের মতো খুবই কাছের। ঈশ্বর তাকে অনেক সাফল্য দান করুন এবং তিনি আরও অনেক পদক জিতুন।” ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের দুই মায়ের মধ্যে এইরকম সৌজন্য বিনিময় ক্রিকেট মহলে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।