Smarphone: ফ্ল্যাগশিপের দরকার পড়বে না, 30 হাজার টাকার মধ্যে সেরা 5 স্মার্টফোন

৩০,০০০ টাকার কমে হাই পারফরম্যান্সের স্মার্টফোন খুঁজছেন? এই নিবন্ধে রইলো আনটুটু স্কোর সহ পাঁচটি সেরা ফোনের হদিস।

Top 5 Smartphones Under Rs 30000

আনটুটু হল ভারতীয়দের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় বেঞ্চমার্কিং প্ল্যাটফর্ম। বহু স্মার্টফোন ইউজার ফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা পরিমাপ করতে এই প্ল্যাটফর্মের ফলাফলের ওপর নির্ভর করেন। এটি একটি ফোনের প্রসেসরকে সিপিইউ, জিপিইউ, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং মেমরির ওপর পরীক্ষা চালায় এবং একটি স্কোর তৈরি করে। বিভিন্ন স্মার্টফোন বিকল্প বেছে নেওয়ার সময় তুলনা করার ক্ষেত্রে এই স্কোর একটি গুরুত্বপুর্ণ টুল হিসাবে কাজ করে। এই নিবন্ধে আনটুটু বেঞ্চমার্কিং পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্কোর করা ৩০,০০০ টাকার কম মূল্যের ফোনগুলির বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে, আসুন এগুলি দেখে নেওয়া যাক।

৩০,০০০ টাকার কমে উপলব্ধ উচ্চ পারফরম্যান্সের ফোনগুলির আনটুটু বেঞ্চমার্ক স্কোর

১. পোকো এফ৬

আনটুটু স্কোর: ১৪,০৪,৬০৫

ভারতীয় মূল্য: ২৭,৮৯৯ টাকা

পোকো এফ৬ আনটুটু পরীক্ষায় ১৪ লক্ষের বেশি স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থানটি দখল করেছে, যা ৩০,০০০ টাকার বেশি দামের অনেক ফোনের চেয়ে বেশি। এটি ফ্ল্যাগশিপ কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন ৩ চিপসেট দ্বারা চালিত, যা ৪ ন্যানোমিটার আর্কিটেকচারে নির্মিত এবং অ্যাড্রেনো ৭১০ জিপিইউ-এর সাথে যুক্ত।

পোকো এফ৬ ফোনের স্পেসিফিকেশন

এই হ্যান্ডসেটে ৬.৬৭ ইঞ্চির ১২০ হার্টজ অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে। এতে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮এস জেন ৩ অক্টা-কোর প্রসেসরে চালিত, যা ১২ জিবি র‍্যাম এবং ৫১২ জিবি স্টোরেজের সাথে যুক্ত। ফটোগ্রাফির জন্য, ফোনটির রিয়ার প্যানেলে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি এবং ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড সেন্সর দ্বারা গঠিত ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ উপস্থিত রয়েছে। আর ফোনের সামনে ২০ মেগাপিক্সেলের সেন্সর বিদ্যমান। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, পোকো এফ৬ হ্যান্ডসেটটি ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি অফার করে, যা ৯০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। পোকো এফ৬ অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভিত্তিক হাইপারওএস কাস্টম স্কিনে রান করে।

২. ওয়ানপ্লাস নর্ড ৪

আনটুটু স্কোর: ১১,৪৫,৮৪২

ভারতীয় মূল্য: ২৯,৯৯৯ টাকা

ওয়ানপ্লাসের লেটেস্ট মিড-রেঞ্জারটি এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পরীক্ষার সময় ওয়ানপ্লাস নর্ড ৪ সহজেই ১১ লাখ স্কোর ছাড়িয়ে গেছে, যা এর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭ প্লাস জেন ৩ প্রসেসরের জন্য সম্ভব হয়েছে।

ওয়ানপ্লাস নর্ড ৪ ফোনের মূল স্পেসিফিকেশন

ওয়ানপ্লাস নর্ড ৪ মডেলে ৬.৭৪ ইঞ্চির ১২০ হার্টজ অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে। ফোনটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭ প্লাস জেন ৩ অক্টা-কোর চিপসেটে চলে, যা ১২ জিবি র‍্যাম এবং ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজের সাথে যুক্ত। আর ফটোগ্রাফির জন্য ফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড সেন্সর সহ ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ অবস্থান করছে। আর ফোনের সামনে ১২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, ওয়ানপ্লাস নর্ড ৪ বড় ৫,৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ১০০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট সহ এসেছে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভিত্তিক অক্সিজেনওএস ১৪.১ কাস্টম স্কিনে রান করে।

৩. ইনফিনিক্স জিটি ২০ প্রো

আনটুটু স্কোর: ৯,৪৩,৫১০

ভারতীয় মূল্য: ২৩,৮৭৫ টাকা

ইনফিনিক্সের জিটি লাইনআপ সস্তায় আশ্চর্যজনক গেমিং ক্ষমতা প্রদানের জন্য পরিচিত, যা আনটুটু পরীক্ষায়ও দেখা যায়। এটি ৯ লাখের ওপরে স্কোর করেছে, যা ২৫,০০০ টাকার নিচের ডিভাইসের জন্য খারাপ নয়। এটিকে মালি-জি৬১০ জিপিইউ-এর সাথে যুক্ত মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮২০০ আল্টিমেট চিপসেট শক্তি যোগায়।

ইনফিনিক্স জিটি ২০ প্রো প্রধান স্পেসিফিকেশন

ইনফিনিক্স জিটি ২০ প্রো ফোনে ৬.৭৮ ইঞ্চির ১৪৪ হার্টজ অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে। এটি মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮২০০ আল্টিমেট প্রসেসর দ্বারা চালিত, যা ১২ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম এবং সর্বাধিক ২৫৬ জিবি স্টোরেজের সাথে যুক্ত। ফটোগ্রাফির জন্য, ইনফিনিক্স জিটি ২০ প্রো ফোনে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর, ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেপ্থ সেন্সর উপস্থিত রয়েছে। আর ফোনের সামনে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেন্সর বিদ্যমান। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, ফোনটি ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট সহ ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারির সাথে এসেছে। ডিভাইসটি অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভিত্তিক এক্সওএস ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে রান করে।

৪. নাথিং ফোন (২এ) প্লাস

আনটুটু স্কোর: ৭,৮০,৭৪৮

ভারতীয় মূল্য: ২৭,৯৯৯ টাকা

নাথিংয়ের অভিনব ডিজাইন এবং নান্দনিকভাবে আকর্ষণীয় ইউজার ইন্টারফেসের জন্য সুপরিচিত। এখন কোম্পানির লেটেস্ট ফোনটি এই তালিকায় একটি স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছে। নাথিং ফোন (২এ) প্লাস মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭৩৫০ প্রো চিপসেট দ্বারা চালিত প্রথম ডিভাইস। পরীক্ষায় এটি ৭ লক্ষ পয়েন্ট স্কোর করেছে, যা ৩০,০০০ টাকার কম দামের একটি ফোনের জন্য বেশ আকর্ষনীয়৷

নাথিং ফোন (২এ) প্লাস ফোনের স্পেসিফিকেশন

নাথিং ফোন (২এ) প্লাস ফোনে ৬.৭ ইঞ্চির ফুলএইচডি+ ১২০ হার্টজ অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে। ফোনটি মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭৩৫০ প্রো প্রসেসরে রান করে, যার সাথে ১২ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ যুক্ত রয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য, নাথিং ফোন (২এ) প্লাস হ্যান্ডসেটে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা এবং ৫০ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড সেন্সর উপস্থিত রয়েছে। আর ফোনের সামনে ৫০ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা অবস্থান করছে। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, নাথিং ফোন (২এ) প্লাস ফোনে ৫০ ওয়াট দ্রুত চার্জিং সাপোর্ট সহ ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে। সফ্টওয়্যারের ক্ষেত্রে, ডিভাইসটি অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে নাথিং ওএস ২.৬ কাস্টম স্কিনে রান করে।

৫. ভিভো টি৩

আনটুটু স্কোর: ৭,২২,৬৬২

ভারতীয় মূল্য: ১৯,৯৯৯ টাকা

মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭২০০ চিপসেট চালিত ভিভো টি৩ ফোনটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ প্রসেসর যুক্ত তার পূর্বসূরির তুলনায় একটি বড় আপগ্রেড। চিপটির চমৎকার প্রসেসিং ক্ষমতার জন্য, ভিভো টি৩ আনটুটু পরীক্ষায় ৭ লক্ষের ওপরে স্কোর করেছে।

ভিভো টি৩ ফোনের স্পেসিফিকেশন

ভিভো টি৩ মডেলে ৬.৬৭ ইঞ্চির ১২০ হার্টজ অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে। এটি মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৭২০০ অক্টা-কোর প্রসেসরে চলে। ফোনটিতে ৮ জিবি র‍্যাম এবং ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ মিলবে। ফটোগ্রাফির জন্য,ফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেপ্থ সেন্সর রয়েছে। আর ফোনের সামনে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা বিদ্যমান। পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য, ডিভাইসটিতে ৪৪ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট সহ ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি বিদ্যমান। ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১৪ ভিত্তিক ফানটাচ ওএস ১৪ কাস্টম স্কিনে রান করে।