শেষ টি-২০ ২০০৯ তে, এবার আন্তর্জাতিক অবসর নিয়ে আইপিএল সহ লিগ খেলার চিন্তাভাবনা ইংলিশ পেসারের

জেমস অ্যান্ডারসন ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল পেসার নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য সম্প্রতি জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডসে হওয়া টেস্ট ম্যাচের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন।

James Anderson Considering To Play T20 Franchise League All Over World After Retirement

বিশ্ব ক্রিকেটে এমন কিছু ক্রিকেটার আছেন যাদের কাছে বয়স শুধু সংখ্যা মাত্র। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেও ৪৩ বছর বয়সেও মহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএলে অংশগ্রহণ করে ব্যাটিং করার সঙ্গে সঙ্গে উইকেটকিপার হিসাবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন‌। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল পেসার জিমি অ্যান্ডারসন ৪২ বছর বয়সেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এবার তিনি এই বয়সে আবার ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিলেন।

ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন টেস্ট ক্রিকেটে ৪২ বছর বয়সেও সমানভাবে মাঠে নেমে নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন। তবে নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য তিনি সম্প্রতি জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডসে হওয়া টেস্ট ম্যাচের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য জেমস অ্যান্ডারসন ইংল্যান্ডের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে এবং টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী। অবসর নেওয়ার পর তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের বোলিং পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।

তবে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি এই পেসার এখনও ক্রিকেট মাঠে তরুণ প্রয়োজনের ক্রিকেটারদের সাথে সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি দ্যা হান্ড্রেড টুর্নামেন্ট দেখার পর ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরে আসতে চাইছেন। এক সাক্ষাৎকারে জেমস অ্যান্ডারসন বলেন, “আমি মনে করি এখনও আমার কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। এই বছরের বাকি সময় যত এগিয়ে আসবে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে। শীতকালে দুটি টেস্ট সফর আছে এবং নিশ্চিত নই যে আমি মেন্টরের ভূমিকায় জাতীয় দলের সাথে থাকব কিনা”

তিনি আরও বলেন, “আমি দ্যা হান্ড্রেড দেখি এবং সেখানে প্রথম ২০ টি বল দুরন্ত সুইং করে। আমি এখনও এটা করতে পারি। সাদা বলের ক্রিকেটে আমার বোলিং এখনও কতটা কার্যকরী হবে দেখা উচিত। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আমি এখনও কিছু করে উঠতে পারিনি। অন্যদিকে আমি ৪২ বছরে প্রবেশ করলেও আমার শরীরে এখনও এই বয়সের ছাপ আসেনি। ফলে এখনও খেলা চালিয়ে যেতে পারি।” উল্লেখ্য জেমস অ্যান্ডারসন শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৫ সালে।

এছাড়াও তিনি শেষ ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন। অন্যদিকে ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জেমস অ্যান্ডারসনের শেষ পদার্পণ ছিল ১০ বছর আগে ২০১৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে। ফলে এতদিন পর তিনি যদি আবার ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরে এসে নিজের জায়গা করে নিতে পারেন তাহলে সেটি বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ঘটনা হিসাবে রয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।