সাবধান, ১.৫ বিলিয়ন Facebook ইউজারের নাম, ফোন নম্বর সহ ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি হ্যাকার ফোরামে
এবার প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ফেসবুক (Facebook) ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকার ফোরামে বিক্রি হতে দেখা গেলো! একটি অনলাইন রিপোর্টে সম্প্রতি এই দাবী করা হয়েছে। ফাঁস হওয়া অধিকাংশই ডেটাই সর্বসমক্ষে উপলব্ধ ছিল। এই সুযোগকে হ্যাকারেরা কাজে লাগায়। সদ্য ফেসবুক (Facebook) এবং তাদের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ও ইনস্টাগ্রাম (Instagram) অচল হয়ে যাওয়ার পরে তথ্য ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যদিও এই দুই ঘটনার মধ্যে পারস্পরিক যোগ থাকার কথা নয়। একটি প্রাইভেসি রিসার্চ কোম্পানির বক্তব্য অনুযায়ী তথ্য হাতানোর সময় হ্যাকারেরা প্রকাশ্যে উপস্থিত ডেটাকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেয়। এদের মধ্যে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, অবস্থান, লিঙ্গ প্রভৃতি সংক্রান্ত তথ্য মজুত রয়েছে।
অনলাইন প্রতিবেদনে উপরের তথ্য ফাঁসের ঘটনাকে ডেটা স্ক্রেপিংয়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে। জনসমক্ষে উপলব্ধ তথ্যগুলি সংগ্রহ করে, তার একটি ডেটাবেস বানিয়ে সেগুলি ব্যবহার করা হলে, তখন তাকে আমরা ডেটা স্ক্রেপিং বলতে পারি। বিভিন্নভাবে হ্যাকারেরা ডেটা স্ক্রেপ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ইউজারদের অনলাইন কুইজ বা ট্রিভিয়ায় (Trivia) ব্যস্ত রেখেও তারা কাজ হাসিল করতে পারে। এরপর হাতানো তথ্য ব্যবহার করে তারা মানুষকে ঠকানোর চেষ্টা করে।
পূর্বোক্ত রিপোর্ট থেকেই আমরা জানতে পারি যে দীর্ঘদিনের একটি স্ক্রেপিং ব্যবসা হ্যাকারদের তথ্য চুরির ক্ষেত্রে মদত জুগিয়েছে। যদিও হ্যাকার ফোরাম থেকে আপাতত তথ্য বিক্রির পোস্ট তুলে নেওয়া হয়েছে। Facebook আবেদন করার পরেই পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয় বলে রিপোর্টের বক্তব্য। অন্যদিকে ফোরামের কয়েকজন ক্রেতার দাবী বিক্রেতার হাতে টাকা তুলে দিলেও তারা কোনরকম তথ্য হাতে পাননি!
উল্লেখ্য চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রায় ৫৩৩ মিলিয়ন Facebook ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বেআইনিভাবে ফাঁস করা হয়। এর ফলে প্রায় ৩.২ কোটি আমেরিকাবাসী, ১.১ কোটি ব্রিটেনবাসী এবং ৬০ লক্ষ ভারতীয় ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিরাপত্তা হারায়। Facebook সিইও, মার্ক জুকারবার্গ স্বয়ং এই ঘটনায় আক্রান্ত হন বলে সংবাদমাধ্যমে সামনে আসে।