Yamaha RD350 থেকে Jawa, একসময়ে বাইক প্রেমীদের মনে রাজ করেছে এই পাঁচটি টু-হুইলার

By :  SUMAN
Update: 2021-12-03 07:18 GMT

একটা সময় ছিল যখন ২-স্ট্রোকের বেশ কয়েকটি চিরস্মরণীয় মোটরসাইকেল দেশের বাজার কাঁপিয়েছিল। বলিউড মুভিতে হিরোদের সেইসব বাইক চালাতে দেখে অনেক বাইক প্রেমীরই অতন্দ্র রাত কাটাতে হয়েছিল। এখনকার টু-হুইলারের তুলনায় সেইসব মোটরসাইকেলগুলিতে কম ফিচার থাকলেও দীর্ঘদিন এ দেশের বাজারে সেগুলি দাপিয়ে বেড়িয়েছে। এমনও কিছু মডেল রয়েছে, যা কিছু মানুষের হৃদয়ে আজীবনের জন্য পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে। প্রেমে পড়ার মতন এমন পাঁচটি মডেলের টু-স্ট্রোকের বাইক নিয়ে এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হল।

Yamaha RD350

এই তালিকার প্রথমে যার নাম না করলেই নয় তা হচ্ছে ইয়ামাহা আরডি৩৫০। শক্তিশালী এবং অত্যন্ত হালকা ছিল এই মোটরসাইকেলটি। আজকের দিনের এমন অনেক বাইককেই হার মানাবে একসময়কার ‘রকেট’ RD350।

এসকর্টস (Escorts) দ্বারা নির্মিত এই মোটরসাইকেলটি একসময় বাজারে রাজদূত হিসেবে পদার্পণ করেছিল। নামের আদ্যক্ষর আরডি (RD)-কে ভাঙলে দাঁড়ায় রেস-ডিরাইভ্ড (Race Derived)। এটি দুটি ভার্সনে বাজারে এসেছিল - HT (High Torque/হাই টর্ক), যা থেকে ৩১ বিএইচপি পাওয়ার পাওয়া যেত এবং LT (Low Torque/লো টর্ক), যা থেকে ২৭ বিএইচপি পাওয়ার পাওয়া যেত। দুর্ভাগ্যক্রমে ভারতীয়দের বেশি মাইলেজ পূর্ণ বাইকের প্রতি আগ্রহ এবং সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক না থাকার কারণে এটি নিজের বাজার ধরে রাখতে অক্ষম হয়।

তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হল, বর্তমানেও আপনি যদি Yamaha RD350-এর পুরানো একটি মডেল কিনতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে খরচ করতে হতে পারে ৩ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এর আকাশছোঁয়া দামের কারণ অক্ষত অবস্থায় এই মোটরসাইকেলটি পাওয়া আজকের দিনে অতি দুরূহ বিষয়। অন্যদিকে পুরানো মডেলটির উচ্চমূল্যের অপর একটি কারণ হল যারা ছোট থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে এই মোটরসাইকেলটির ছবি দেখে বড় হয়েছেন, হয়তো কখনো চালাতে পারবেন বলে স্বপ্নও দেখেছেন, তাঁদের সেই বাল্যাবস্থার স্বপ্ন পূরণ করাও এর জন্য দায়ী।

Jawa

এই তালিকার অপর একটি বিখ্যাত বাইক হল জাওয়া (Jawa)। কয়েকজন পার্সি জনৈকর হাত ধরে এদেশে প্রথম চেক ব্র্যান্ডটি পদার্পণ করেছিল। ১৯৬১ - ১৯৭১-এর মধ্যে ৩৫৩/০৪ বাইকটির মোট ২৫০ ইউনিট তৈরি করেছিল তাঁরা। তখনকার বুলেট এবং রাজদূতের তুলনায় এই মডেলটি ছিল অধিক স্পোর্টি লুকের। যে কারণে এটি সাফল্যের শিখন্ডী খাড়া করতে পেরেছিল। এরপর ১৯৭৪-এ ইয়েজদি (Yezdi) নামে নতুন এক ব্র্যান্ড চালু করে, যার আওতায় এই জাওয়া বাইকটি আনা হয়েছিল। তবে এর ১৩ বছর পর অনেকের স্বপ্নের মোটরসাইকেলটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি।

Kawasaki KB100

দেশীয় বাজারে বাইকটিকে নিয়ে আসার দায়িত্ব ছিল Bajaj-এর। রিসোনেটর-এর মত প্রযুক্তি, কনসিল্ড কার্বুরেটর, ফুয়েল গজ, টেকোমিটার এবং বৃহৎ ব্রেক থাকা সত্ত্বেও এই বাইকটি তুলনামূলক কম জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছিল। পরে বাজাজ যদিও KB125 নামে এর একটি অধিক শক্তিশালী ভার্সন নিয়ে এসেছিল কিন্তু সেক্ষেত্রেও বিশেষ সাড়া ফেলতে পারেনি বাইকটি।

Suzuki Shogun

ভারতে তিন দশক ধরে সুজুকি ও ইয়ামাহা পরস্পরের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। ৯০ দশকের শুরুতে সুজুকি শোগুন-এর হাত ধরে এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা শুরু হয়েছিল। সেই সময় ১০০সিসির বাইকগুলির মধ্যে ইয়ামাহা আরএক্স১০০ ছিল অন্যতম। কিন্তু শোগুন বাজারে আসার পর এটি ১১০ সিসি হওয়ার কারণে অধিক প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে কিছুদিন যেতেই ইয়ামাহা তুলনায় সুজুকির এই ফ্ল্যাগশিপ বাইকটির জনপ্রিয়তা কমতে থাকে।

Yamaha RX100

টু-স্ট্রোকের বাইকগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি নাম হল ইয়ামাহা আরএক্স১০০। এর জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হল এটি হল ‘অবিনশ্বর’ একটি বাহন। এছাড়াও এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যেমন ছিল অতি সামান্য, অন্যদিকে এটি ছিল ভীষণ ভরসাযোগ্য, হালকা ওজনের এবং বিস্ময়কর গতিশীল। তবে বর্তমানে এই বাইকটি RXG দ্বারা পরিবর্তিত করা হয়েছে, যেটি একটি ফোর-স্ট্রোক কমিউটার মোটরসাইকেল।

Tags:    

Similar News