পলিসি পছন্দ না হলে WhatsApp ব্যবহার বন্ধ করুন, সাফ জানালো দিল্লি হাইকোর্ট

ফোন নম্বর ফাঁস থেকে নতুন প্রাইভেসি পলিসি, একাধিক কারণে সমালোচনায় বিদ্ধ হয়ে কোনঠাসা অবস্থায় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। চাপের মুখে ফেসবুক মালিকানাধীন অ্যাপটি কয়েকদিন আগেই ঘোষণা করেছে যে এক্ষুনি বলবৎ হচ্ছেনা নতুন নিয়ম। কিন্তু এরপরও যেন থামছেনা বিতর্ক। দেশজুড়ে দাবি জানানো হচ্ছে অ্যাপটি ব্যান করার। তবে আজ দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে WhatsApp কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।

আসলে আজ সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট, WhatsApp এর নতুন প্রাইভেসি পলিসির বিরুদ্ধে আনা একটি মামলার শুনানিতে জানিয়েছে যে, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি মানা একটি “সেচ্ছাধীন” (voluntary) বিষয় এবং যদি কেউ এর শর্তাবলীর সাথে একমত না হয় তাহলে সে এটি ব্যবহার না করতে পারে। আদালত আরো বলেছে যে, যদি অধিকাংশ মোবাইল অ্যাপের শর্তাবলী পড়া হয়, “আপনি কি সম্মতি দিয়ে রেখেছেন তা দেখলে বিস্মিত হবেন”। সেক্ষত্রে গুগল ম্যাপও আপনার সমস্ত ডেটা স্টোর করে।

বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব পিটিশনারকে বলেছেন, এটি একটি প্রাইভেট অ্যাপ। সুতরাং আপনি চাইলে এর অন্য বিকল্প অ্যাপ ব্যবহার করতেই পারেন। পাশাপাশি আদালত নতুন প্রাইভেসি পলিসির কারণে আবেদনকারীর কি তথ্য ফাঁস হবে বুঝতে পারছে না বলে জানিয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি এই মামলার আবার শুনানি হবে।

আদালতের সাথে সহমত প্রকাশ করে কেন্দ্রও বিষয়টির বিশ্লেষণ দরকার বলে মনে করছে। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক এর হয়ে সওয়াল করা সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল এবং মুকুল রোহতগি আদালত কে জানিয়েছেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে ব্যক্তিগত চ্যাট মেসেজ এনক্রিপ্ট করা থাকে, হোয়াটসঅ্যাপ দ্বারা কখনই তা অ্যাক্সেস করা হয়না এবং নতুন প্রাইভেসি পলিসিতেও এই নিয়মের বদল ঘটবে না।

সূত্র: Press Trust of India