Bajaj Pulsar NS125 কেনার প্ল্যান? বড় চমক Hero Xtreme 125R বাইকেও, নেবেন কোনটা

বছরের প্রথমেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে ভারতের ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল সেগমেন্টে Xtreme 125R লঞ্চ করে হইচই ফেলে দিয়েছে হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)। যেমন রয়েছে তুখোড় লুক, তেমনই…

বছরের প্রথমেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে ভারতের ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল সেগমেন্টে Xtreme 125R লঞ্চ করে হইচই ফেলে দিয়েছে হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)। যেমন রয়েছে তুখোড় লুক, তেমনই জমজমাট ফিচার্স। বাজারে বাইকটির প্রতিদ্বন্দ্বীদের তালিকায় রয়েছে – Bajaj Pulsar NS125, Bajaj Pulsar 125 Neon ও TVS Raider 125। আজকের আলোচনা Hero Xtreme 125R ও Bajaj Pulsar NS125-কে ঘিরে। বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই নিজের উপস্থিতির শেকড় গভীর থেকে আরও গভীরে পৌঁছানোর কাজ করে আসছে Pulsar NS125। এই দুই মডেলের মধ্যে কে কতটা এগিয়ে তা জানাতেই এই প্রতিবেদন। এখানে বাইক দুটির দামের তুলনাও তুলে ধরা হল।

ডিজাইন

Hero Xtreme 125R-এ আগাগোড়া স্পোর্টি ও পেশীবহুল লুক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দর্শনের দিক থেকে Xtreme 160R-এর সাথে মিল রয়েছে। এতে উপস্থিত প্রোজেক্টার এলইডি হেড ল্যাম্প, এলইডি ইন্ডিকেটর এবং সিগনেচার এলইডি টেল ল্যাম্প। অন্যদিকে, Bajaj Pulsar NS125-এ নেকড়ে বাঘের চোখের ন্যায় হেড লাইট বর্তমান। এছাড়া আছে ইনফিনিটি টুইন স্ট্রিপ এলইডি টেল ল্যাম্প।

দাম

দুই বাইক একে অপরকে বিনা যুদ্ধে এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ। Bajaj Pulsar NS125-এর অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসেবে Extreme 125R হাজির করেছে হিরো। ময়দানে দুই বাইকের দাপটই দেখা যেতে পারে। Hero Xtreme 125R এর IBS ও ABS ভ্যারিয়েন্টের মূল্য যথাক্রমে ৯৫,০০০ টাকা ও ৯৯,৫০০ টাকা (এক্স-শোরুম)। অন্যদিকে Pulsar NS125 কিনতে খরচ পড়ে ৯৯,৫৭১ টাকা (এক্স-শোরুম)।

ইঞ্জিন ও পারফরম্যান্স

Xtreme 125R-কে এগিয়ে চলার শক্তি জোগাতে উপস্থিত একটি ১২৪.৭ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন। এটি থেকে ১১.৪ বিএইচপি ক্ষমতা এবং ১০.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে।এক লিটার পেট্রল ৬৬ কিলোমিটার পথ ছুটবে বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে, Pulsar NS125-এর ১২৪.৪৫ সিসি এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন থেকে ১১.৮ বিএইচপি আউটপুট পাওয়া যায়। এটি ০-৬০ কিমি/ঘন্টার গতি ৬.৬ সেকেন্ডে তুলতে সক্ষম এবং এর মাইলেজ ৫৬ কিলোমিটার।

কালার অপশন ও ফুয়েল ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি

Hero Xtreme 125R তিনটি কালার অপশনে বেছে নেওয়া যায়। এতে উপস্থিত একটি দশ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক। যেখানে Pulsar NS125 চারটি রঙের বিকল্পে উপলব্ধ। এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের ক্যাপাসিটি ১২ লিটার।

সাদৃশ্য

উভয় মোটরসাইকেলে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য সমান। যেমন দুটি মডেলেই রয়েছে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক, রিয়ার মোনোশক, এলইডি টেল ল্যাম্প, অ্যালয় হুইল, ৫-স্পিড গিয়ারবক্স, ডিজিটাল স্পিডোমিটার ইত্যাদি।