Honda এবার ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল লঞ্চের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ডজনখানেক নতুন মডেল বাজারে আনবে

সমগ্র বিশ্বে পরিবেশ উষ্ণায়ন একটি অন্যতম মাথাব্যথার কারণে পরিণত হয়েছে। দূষণের ক্রমাগত বাড়বাড়ন্তে যার মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। যার অন্যতম কারণ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহন…

সমগ্র বিশ্বে পরিবেশ উষ্ণায়ন একটি অন্যতম মাথাব্যথার কারণে পরিণত হয়েছে। দূষণের ক্রমাগত বাড়বাড়ন্তে যার মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। যার অন্যতম কারণ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। তার জেরে বিকল্প জ্বালানির যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে তৎপর হয়েছে বিশ্বের প্রায় সকল দেশের সরকার। যার মধ্যে ব্যাটারি চালিত গাড়ির জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। এর সাথে দোসর হয়ে দেখা দিয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের ছ্যাঁকা লাগানো মূল্য। ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ দ্রুত গতিতে চিরাচরিত যানবাহনের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। বাজারে আরও বেশি সংখ্যক ইলেকট্রিক যানবাহন আনার এটাই সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছে গাড়ি সংস্থাগুলি। তেমনই জাপানি ব্র‍্যান্ড হোন্ডা মোটর (Honda Motor)-ও সেই পথে হাঁটতে শুরু করেছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে দশটির অধিক ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল লঞ্চের পরিকল্পনার কথা জানালো তারা।

আজ হোন্ডা মোটর কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, ২০৪০-এর মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন করার লক্ষ্যে তাদের এই সিদ্ধান্ত। সমগ্র বিশ্বে জীবাশ্ম জ্বালানির মোটরসাইকেলের দুনিয়ার অন্যতম নেতৃত্ব প্রদানকারী সংস্থা হোন্ডাকে এগুলি বৈদ্যুতিক ভার্সন নিয়ে আসতে বেগ পেতে হচ্ছে বৈকি। বড় ইঞ্জিনের মডেলগুলি বৈদ্যুতিক ভার্সনে পরিবর্তিত করতে হলে দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। সংস্থাটি জানিয়েছে এটি তাদের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক বিবৃতি প্রকাশ করে হোন্ডা বলেছে, ২০২৫-এর মধ্যে তারা ১০টির বেশি নতুন বৈদ্যুতিক বাইক লঞ্চ করবে। এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে বার্ষিক ১০ লক্ষ ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। এমনকি সংস্থাটি ২০৩০-এর মধ্যে ৩৫ লক্ষ ব্যাটারি চালিত বাইক গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

হোন্ডা জানিয়েছে, তাদের মোটরসাইকেলগুলি সলিড-স্টেট ব্যাটারি সহ আসবে, বর্তমানে যার উন্নয়নের উপর কাজ চলছে। তবে ইলেকট্রিক মডেলের প্রতি ঝোঁক বাড়লেও, সংস্থার সাফ বক্তব্য যে, তারা ইন্টার্নাল কম্বাশন ইঞ্জিন মোটরসাইকেলের বিক্রি বন্ধ করবে না। তারা দীর্ঘদিন ধরে ইঞ্জিন থেকে নির্গত কার্বনের পরিমাণ কমিয়ে আনার উপর কাজ করে চলেছে হোন্ডা। অদূর ভবিষ্যতে গ্যাসোলিন (পেট্রোল) এবং ইথানল মিশ্রিত জ্বালানি যাতে ব্যবহার করা যায়, সেদিকেই এগোচ্ছে সংস্থাটি।