মারুতির অভাবনীয় উদ্যোগ, এক টাকাও দাম না বাড়িয়ে দুর্দান্ত ফিচার সহ Baleno লঞ্চ করে চমকে দিল

Published on:

2023 Maruti Suzuki Baleno Upgraded

প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক গাড়ি হিসেবে Maruti Suzuki Baleno-র ভারতের বাজারে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এবারে সেগমেন্টের প্রথম ফিচার হিসেবে এটি পেছনের যাত্রীদের জন্য থ্রি-পয়েন্ট সিট বেল্ট সহ হাজির হল। একই সাথে অ্যাডজাস্টেবল হেডরেস্ট বৈশিষ্ট্য হিসেবে পেয়েছে মডেলটি। গাড়িটি হঠাৎ এমন সুরক্ষাজনিত ফিচার সমেত উপস্থিত হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে গত বছর ভারত সরকারের কড়া হুঁশিয়ারি। আগের বছর টাটা সন্স-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রকের তরফে দেশের সমস্ত যাত্রীবাহী গাড়িতে সকল যাত্রীর ও চালকের জন্য সিটবেল্ট আবশ্যিক ফিচার হিসেবে রাখার কথা বলা হয়। আর তাতেই নড়ে চড়ে বসে দেশের সমস্ত যাত্রীবাহী গাড়ি নির্মাতা।

Maruti Suzuki Baleno নতুন সেফটি ফিচার আপডেট পেল

এবারে প্যাসেঞ্জার ও চালকের জন্য থ্রি-পয়েন্ট সিটবেল্ট এবং অ্যাডজাস্টেবল হেডরেস্ট সহ Baleno হাজির করে সরকারের নির্দেশ মানল মারুতি সুজুকি। একই সাথে সরকারের তরফে আট সিটের সমস্ত গাড়িতে সমস্ত যাত্রীর জন্য কমপক্ষে ছয়টি এয়ারব্যাগ আবশ্যিক করার বার্তাও দেওয়া হয়। যদিও এই নিয়ম ২০২৩-এর অক্টোবর থেকে কার্যকর হতে চলেছে।

উল্লেখ্য, মারুতি ব্যালেনো ইতিমধ্যেই ছয়টি এয়ারব্যাগ, ইবিডি (ইলেকট্রনিক ব্রেকফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন) সহ এবিএস (অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম), ইলেকট্রনিক স্টেবিলটি প্রোগ্রাম, ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা, হিল স্টার্ট অ্যাসিস্ট, একটি রিভার্স ক্যামেরা, রিয়ার পার্কিং সেন্সর এবং আইসোফিক্স চাইল্ড সিট অ্যাঙ্কোরেজ সহ উপলব্ধ।

Maruti Suzuki Baleno : দাম

সেফটি ফিচার যোগ করলেও প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাকটির দাম এক পয়সাও বাড়ায়নি মারুতি সুজুকি। আগের মতই এর মূল্য ৬.৬১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। এবং টপ-এন্ড ভ্যারিয়েন্টের দাম গিয়েছে ৯.৮৮ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত। Delta, Zeta ও Alpha এই তিনটি অটোমেটিক ভ্যারিয়েন্টের মূল্য যথাক্রমে ৮ লক্ষ, ৮.৯৩ লক্ষ ও ৯.৮৮ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। আবার Baleno Delta CNG ও Zeta CNG-এর মূল্য ৮.৩৫ লক্ষ ও ৯.২৮ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।

Maruti Suzuki Baleno : ইঞ্জিন, মাইলেজ ও প্রতিপক্ষ

Baleno হ্যাচব্যাকে উপস্থিত একটি ১.২ লিটার, ৪-সিলিন্ডার ডুয়েলজেট K12N পেট্রোল ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ৯০ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন হয়। গাড়িটি ৫-স্পিড ম্যানুয়াল এবং এএমটি গিয়ারবক্স সহ বেছে নেওয়া যায়। ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক ভার্সনের মাইলেজ যথাক্রমে ২২.৩৫ কিমি/লিটার ও ২২.৯৪ কিমি/লিটার বলে দাবি করা হয়েছে। হ্যাচব্যাক মডেলটির নয়া ভার্সনে যুক্ত হয়েছে নতুন সাসপেনশন সেটআপ এবং বৃহত্তর ১৪ ইঞ্চি ব্রেক ফ্রন্ট ব্রেক। গাড়িটির প্রতিপক্ষ হিসেবে বাজারে রয়েছে Hyundai i20, Tata Altroz এবং Toyota Glanza।

সঙ্গে থাকুন ➥