মোদি সরকারের মাস্টারস্ট্রোক, আগামী মাসে পেট্রল-ডিজেলের দাম 10 টাকা কমতে পারে

পেট্রোল-ডিজেলের ঝাঁঝালো মূল্যের কারণে অনেকেই খরচ বাঁচাতে ব্যাটারি চালিত যানবাহন ব্যবহার করার দিকে ঝুঁকছেন। আর যাদের উপায় নেই তাদের কাছে পাম্পে গিয়ে তেল ভরা মাথাব্যথার…

পেট্রোল-ডিজেলের ঝাঁঝালো মূল্যের কারণে অনেকেই খরচ বাঁচাতে ব্যাটারি চালিত যানবাহন ব্যবহার করার দিকে ঝুঁকছেন। আর যাদের উপায় নেই তাদের কাছে পাম্পে গিয়ে তেল ভরা মাথাব্যথার বড় কারণ। এহেন পরিস্থিতিতে যদি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমার খবর কমার খবর পাওয়া যায়, তবে নিঃসন্দেহে আমজনতার মনে বাঁধ ভাঙা খুশির উদ্রেক হওয়াটাই স্বাভাবিক। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এমনটাই হতে চলেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

পেট্রোল-ডিজেলের দাম লিটার পিছু ১০ টাকা কমতে পারে

২০২৪ সালের এপ্রিল এবং মে মাসে লোকসভা ভোট সম্পন্ন হবে। তার আগে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসের শুরুতেই পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য সরকার ১০ টাকা কমাতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর আসছে। জানিয়ে রাখি, গত দু’বছর আগে সেন্ট্রাল এক্সসাইজ পলিসি কমানোর ফলে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৮ টাকা এবং ডিজেল ৬ টাকা সস্তা হয়েছিল। আর্ন্তজাতিক বাজারে ক্রুড অয়েল বা অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও, ভারতবাসীর কোনও সুরাহা হয়নি।

যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও সরকারের তরফে কোন নিশ্চিত বার্তা এসে পৌঁছায়নি। সেরকম হলে মূল্য হ্রাসের জল্পনায় সিলমোহর দেবেন খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জানিয়ে রাখি, চলতি আর্থিক বর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জ্বালানি বিক্রি করে তেল সংস্থাগুলির ৭৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। ফলে আমজনতাকে স্বস্তি দিয়ে তেলের দাম কমার জল্পনা তীব্র হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজ্য বিশেষে ট্যাক্সের পরিমাণ কম-বেশি হয় বলে পেট্রোল-ডিজেলের দামেও তফাৎ নজরে পড়ে। যেমন বর্তমানে দিল্লিতে লিটার পিছু পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম যথাক্রমে ৯৬.৭১ টাকা ও ৮৯.৬২ টাকা। আবার মুম্বাইতে মূল্য যথাক্রমে ১০৬.৩১ টাকা এবং ৯২.৭৮ টাকা। মুম্বাইয়ের মত বেশ কিছু শহরে পেট্রোলের দাম তিন অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছেছে অর্থাৎ সেঞ্চুরি হাকিয়েছে।