কর ফাঁকি দিতে কোটি কোটি টাকা বিদেশে চালান, Vivo-র ১১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞা জারি ED-র

এবার চীনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিভো (Vivo) -র সাথে সম্পর্কিত ১১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। এইসব অ্যাকাউন্টে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৬,৫০০ কোটি টাকা সঞ্চিত পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি’র (ED) অভিযোগ। এর জন্য বেআইনিভাবে ভারতের বাইরে অর্থ পাচারের দায়ে অভিযুক্ত চীনা সংস্থাটিকে যে ভবিষ্যতে আরো বড় বিপদের সম্মুখীন হতে হবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

কর ফাঁকি দিতে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা বিদেশে চালান – তদন্তে মিলল প্রমাণ

আসলে জনপ্রিয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক ভিভো’র বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে গিয়ে ইডি চলতি সপ্তাহে মোট ৪৮টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ঝটিতি তল্লাশি চালায়। সাম্প্রতিক কালে ভিভো ইন্ডিয়ার (Vivo India) পক্ষ থেকে দেশের বাইরে যে অবৈধভাবে অর্থ চালান করা হয়েছে, তার প্রমাণ উক্ত তল্লাশিতে মিলেছে বলে সংবাদ। মূলত বাড়তি করের বোঝা এড়িয়ে যেতেই চীনা সংস্থাটি এমন বেআইনি উপায়ে অর্থ পাচার করেছে বলে অভিযোগ।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, চীনদেশীয় বিবিকে ইলেক্ট্রনিক্স (BBK Electronics) গ্রুপের মালিকানাধীন ভিভোর তরফ থেকে ইডি’র ১১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞা জারি সম্পর্কে কোনো মতামত বা বিবৃতি প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহেই অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে ভিভো দাবি করে যে তদন্ত পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাকে তারা সর্বপ্রকারে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

তল্লাশিতে Vivo -র দপ্তরে মিললো ২ কেজি সোনার বার

এদিকে চীনা সংস্থার দাবি যাই হোক না কেন, কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাদের বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, তদন্তকালে তারা ভিভোর তরফ থেকে বারবার কেবল অসহযোগিতার সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া তদন্তকারীদের দাবি তল্লাশির সময় তারা অভিযুক্ত সংস্থার দপ্তর থেকে ২ কিলোগ্রাম (kg) সোনার বার এবং কিছু পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছেন।

অন্যদিকে, ইডি’র (ED) তল্লাশি প্রসঙ্গে ভারতে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে চীনা কোম্পানিগুলির প্রতি ভারত সরকারের এহেন মনোভাব, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের এদেশে লগ্নির ব্যাপারে অনুৎসাহিত করবে।

উল্লেখ্য, আইনবিরুদ্ধ ভাবে দেশের বাইরে অর্থ পাচারের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি চলতি বছরের গোড়ার দিকে (২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২) Vivo -র বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ইডি’র দাবি কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ বেআইনি পদ্ধতিতে চীনা সংস্থা ভিভো তাদের মোট বিক্রির ৫০ শতাংশ অর্থই বিদেশে পাচার করে। পাচারকৃত এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা হতে পারে বলে ইডি’র বক্তব্য।