RTO-তে হয়রানির দিন শেষ, গাড়ির লাইসেন্স থেকে নথিভুক্তি, সব পরিষেবা এবার বাড়িতে বসেই পাবেন
রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও)- সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যকলাপ এবার পশ্চিমবঙ্গে অনলাইনে হতে চলেছে। রাজ্যের পরিবহণ...রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও)- সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যকলাপ এবার পশ্চিমবঙ্গে অনলাইনে হতে চলেছে। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী পদে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর স্নেহাশীষ চক্রবর্তী এ কথা জানিয়েছেন। লার্নার লাইসেন্স থেকে ভেহিকেল রেজিস্ট্রেশন, সমস্তটাই এবার বাড়ি বসে অনলাইনে করা যাবে। তিনি আরও বলেন, গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন থেকে পারমিটের আবেদন - সমস্তটাই এবার ঘরে বসে করা যাবে। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় কাজের জন্যই এবার থেকে আর আরটিও অফিসমুখী হতে হবে না। কমবে হয়রানি। মাসখানেকের মধ্যেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন রাজ্যের নয়া পরিবহণ মন্ত্রী।
ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানান, “আরটিও অফিসে সাধারণ মানুষের হয়রানি থামাতে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভেহিকেল রেজিস্ট্রেশন, লার্নার লাইসেন্স অথবা পারমিট পরিষেবা এবার অনলাইনে দেওয়া হবে। বাড়ি বসে আরামে আমজনতা এই কাজ করতে পারবেন।” তাঁর কথায়, “আমআদমীর সাথেই যারা পরিবহণ ব্যবসার সাথে যুক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই একই সুবিধা মিলবে।”
মন্ত্রী যোগ করেন, “ভেহিকেল রেজিস্ট্রেশন, লার্নার লাইসেন্স, ফ্যান্সি রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বাণিজ্যিক গাড়ির স্পেশাল পারমিট, ঠিকানা বদল, হাইপোথিকেশন ক্যান্সেলেশন, ডুপ্লিকেট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি পারমিট সহ আরও অন্যান্য পরিষেবা অনলাইনে পাওয়া যাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় নথি সাবমিট করতে হবে।” একই সাথে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা ২০৩০-এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধবে রূপান্তরির করা।
পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই কাজে গতি আনতে সামনের বছর ১,১৮০টি ইলেকট্রিক বাস রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। অন্য দিকে, যানবাহন থেকে নির্গত দূষণ হ্রাস, ইলেকট্রিক চার্জিং পয়েন্ট এবং সিএনজি স্টেশন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য, “রাজ্য ইতিমধ্যেই টাটা মোটরসের সাথে ১,১৮০টি ইলেকট্রিক বাস কেনার চুক্তি করেছে। যেগুলি খুব শীঘ্রই চলে আসবে।” তিনি এ-ও বলেন, কলকাতার দূষণ কমাতে বেসরকারি সংস্থার ১,০০০ ইলেকট্রিক ক্যাব মোতায়েন করা হবে।