নেটওয়ার্ক ছাড়াই গেল কল, দাম দিয়ে iPhone 14 কিনে জীবন ফিরে পেল গিরিখাতে পরে যাওয়া ব্যক্তি

দুর্ঘটনাটি এমন এলাকায় ঘটে, যেখানে কোনো সেলুলার কানেকশন বা ওয়াইফাই কভারেজ ছিল না

সম্প্রতি ফের জীবনরক্ষাকারী গ্যাজেট হিসেবে ধরা দিয়েছে iPhone 14। গত শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসে দুর্ঘটনায় পড়া এক ব্যক্তির জীবন বাঁচিয়েছে নতুন আইফোন মডেলটি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি তার গাড়ি নিয়ে পাহাড়ি রাস্তায় যাবার সময় মাউন্ট উইলসন এলাকার একটি গিরিখাতে ৪০০ ফুট নিচে পড়ে যান। এরপর তাঁর iPhone-এর কারণে দুর্ঘটনার কথা জানা যায় এবং এমার্জেন্সি রেসকিউ টিম তাঁকে উদ্ধার করে। এই প্রিমিয়াম ফোনের সাহায্য ছাড়া সময় মতো ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা এবং প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হতোনা বলেই দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে হল এই অসাধ্য সাধন?

বিপদে ত্রাতা iPhone 14-এর ফিচার

আসলে অ্যাপল তার আইফোন এবং অন্যান্য প্রিমিয়াম ডিভাইসগুলিতে এমন কিছু স্পেশাল ফিচার দেয়, যার কারণে সেগুলি ইউজারকে নানাবিধভাবে বিপদ থেকে রক্ষা করে। এর আগে বহুবার আইফোন, অ্যাপলওয়াচ (Apple Watch) ইত্যাদি ডিভাইসের মাধ্যমে ইউজারের প্রাণ বেঁচেছে বলে শোনা গেছে। সেক্ষেত্রে এবার আইফোন ১৪-এর ক্র্যাশ ডিটেকশন এবং স্যাটেলাইট পরিচালিত এমার্জেন্সি এসওএস ফিচার রক্ষাকর্তার ভূমিকা পালন করেছে।

ম্যাক রুমার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি এমন এলাকায় ঘটে, যেখানে কোনো সেলুলার কানেকশন বা ওয়াইফাই কভারেজ ছিল না। কিন্তু ওই ব্যক্তির আইফোন ক্র্যাশ ডিটেকশন ফিচারের মাধ্যমে বিপদ শনাক্ত করে এবং স্যাটেলাইট কানেকশনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার সঠিক স্থান উল্লেখ করে এমার্জেন্সি রিলে সেন্টারে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠায়। এরপরই তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।

এই গোটা ঘটনাটি প্রমাণ করে যে, বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করছে এবং এগুলি সংকটজনক পরিস্থিতিতে ভীষণ উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। বলে রাখি, লেটেস্ট আইফোন ১৪ সিরিজের প্রত্যেকটি মডেলে এই ক্র্যাশ ডিটেকশন ফিচারটি ডিফল্ট ফিচার হিসেবে দেওয়া আছে। তবে মনে রাখতে হবে, আইফোন ১৪-এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইমার্জেন্সি এসওএসের যোগাযোগের জন্য আইওএস ৬.১ বা তার পরের সফ্টওয়্যার ভার্সনের আপডেট প্রয়োজন।