১৫ বছর আগের iPhone, কিনতে হলে খরচ করতে হবে ৪০ লক্ষ টাকা

দুষ্প্রাপ্য, পুরোনো জিনিসের দাম বা কদর সবসময়ই বেশি হয়; কিন্তু ফোন? পুরোনো হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রেও কি এই একই রীতি খাটে? তাহলে কিন্তু উত্তর হ্যাঁ-ই হবে, অন্তত সাম্প্রতিক খবর তাই বলছে। আসলে স্মার্টফোন এমন একটি জিনিস, যা নির্দিষ্ট দামে লঞ্চ হলেও সময়ের সাথে সাথে (পড়ুন এগুলি কেনার পরপরই) তার দাম কমতে শুরু করে। ফোন যত পুরোনো, তার মূল্যও তত কম। সেক্ষেত্রে আজ আমরা একটি বিশেষ ফোন সম্পর্কে কথা বলব, যার দাম অনেক বছর পর বেড়ে গিয়েছে। ঠিকই পড়েছেন! সম্প্রতি একটি পুরোনো iPhone-কে নিলামে তোলা হয়েছে, যেখানে এর দাম ৫০ লাখের কাছাকাছিতে পৌঁছানোর কথা শোনা যাচ্ছে।

মরা হাতি নাকি পুরোনো iPhone মানে লাখ টাকা?

২০০৭ সালে অ্যাপল কোম্পানি তাদের প্রথম আইফোন ৫৯৯ ডলারে (প্রায় ৪৯,২৫৮ টাকা) লঞ্চ করে, আর ওই বছরই উপহার হিসেবে একটি আইফোন পান ক্যারেন গ্রিন। সেক্ষেত্রে এই আইফোন সিরিজের অনেক ইউনিট বাজারে এলেও, ক্যারেনের ফোনটি এখন এটি নিলামে উঠছে; এর পেছনে রয়েছে একটি ছোট্ট গল্প। আসলে প্রথম জেনারেশনের আইফোন ৩.৫ ইঞ্চি টাচ স্ক্রিন, ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং সাফারি ওয়েব ব্রাউজারের মত ফিচারের সাথে এলেও উপহার প্রাপক ক্যারেন এই ফোন ব্যবহার করতে পারেনি। কারণ সেই সময়ে আইফোনটি কেবল এটিঅ্যান্ডটি (AT&T) নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করত এদিকে ক্যারেন ছিলেন ভেরিজন (Verizon) ইউজার। সেইজন্য দীর্ঘদিন (লঞ্চের প্রায় ১৫ বছর পরও) ফোনটি রিটেল বক্সে প্যাকড্ থেকে যায়।

এই ঘটনার জেরেই এখন ক্যারেনের আইফোনটি বিশেষ হয়ে উঠেছে এবং এটিকে নিলামে তোলা হয়েছে। যদিও ক্যারেন নিজেই টাকার প্রয়োজনবশত একটি বিজ্ঞাপন থেকে নিলামে আগ্রহী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। যাইহোক মজার ব্যাপার এটাই যে, প্রথম প্রজন্মের এই আইফোন মডেলটির দাম নিলামে কমপক্ষে ৫০ হাজার ডলারে (প্রায় ৪০.১ লাখ টাকা) পৌঁছাবে বলে মনে হচ্ছে, যার পরিমাণ লেটেস্ট আইফোন ১৪ হ্যান্ডসেটগুলির দামের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতপরশু অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে আইফোনটির এই নিলাম শুরু হয়েছে যা চলবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই নিলামে পরিচালনায় রয়েছে এলসিজি অকশনস্ (LCG Auctions) কোম্পানি। এক্ষেত্রে নিলামের সর্বনিম্ন বিড (bid) রাখা হয়েছে ২,৫০০ ডলার (ভারতীয় মূল্যে ২,০৫,৫৮৪ টাকার কাছাকাছি)।