Mobile Phones: এবার সরকারের চাপে ভারত ছাড়তে চাইছে চাইনিজ স্মার্টফোন কোম্পানিরা

২০২০ সালে ভারত-চীন উত্তেজনার পর, এদেশে মোবাইল বিক্রি করতে গিয়ে বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়েছিল চীনা স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি। কিন্তু চলতি বছরে তাদের সমস্যা আরও জটিল…

২০২০ সালে ভারত-চীন উত্তেজনার পর, এদেশে মোবাইল বিক্রি করতে গিয়ে বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়েছিল চীনা স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি। কিন্তু চলতি বছরে তাদের সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। আসলে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন Xiaomi (শাওমি), Vivo (ভিভো), Oppo (ওপ্পো)-এর মত পরিচিত এবং বাজার সেরা ব্র্যান্ডগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে; একদিকে যেমন কোম্পানিগুলির নতুন ফোন লঞ্চ হচ্ছে, ঠিক তেমনি তাদের রাখা হয়েছে আয়করের রাডারে। সেক্ষেত্রে ভারত ব্যবসার জন্য অন্যতম বড় বাজার হলেও, ক্রমাগত বাধার মুখে পড়ে এবার সম্ভবত এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে চাইছে চাইনিজ স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি। কেননা, সম্প্রতি তারা এই দেশ ব্যতীত অন্য কোথাও মোবাইল ফোন তৈরি করার সুযোগ খুঁজছে বলে জানা গিয়েছে।

ভারত ছাড়বে Xiaomi, Oppo-রা?

বিগত ৭-৮ বছর ধরে দাপটের সঙ্গে ভারতে স্মার্টফোন বিক্রি করে চলেছে শাওমি এবং অন্যান্য কোম্পানিগুলি। কম দামে বেশি ফিচার সমৃদ্ধ ফোন লঞ্চ করে করে এগুলি গ্রাহকদের মন জয় করে নিয়েছে। এখন বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের (এমনকি Lava, Karbonn-এর মত দেশীয় সংস্থার) বিভিন্ন ফোন থাকলেও, সেসব অধিকাংশেরই পছন্দের তালিকায় থাকেনা। এদিকে ভারতে ব্যবসায়িক সাফল্য পাওয়ায়, কোম্পানিগুলি এদেশে ফোন বিক্রি বা আমদানির পাশাপাশি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ফোন তৈরিও করছে। কিন্তু এই ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে কেন্দ্র সরকারের শ্যেনদৃষ্টিতে পড়েছে শাওমি, ওপ্পো বা ভিভো; এই চীনা টেক জায়ান্টগুলির অফিসে অভিযানও চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত দুই বছরে সরকার প্রচুর চীনা মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। সম্ভবত এই সব কারণ মিলিয়েই চীনা মোবাইল কোম্পানিগুলির ভারতের প্রতি মোহভঙ্গ হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে যে, এমতাবস্থায় কোম্পানিগুলি ভারতকে বাদ দিয়ে অন্য দেশে ব্যবসা স্থানান্তরিত করছে।

গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই চীনা কোম্পানিগুলি ভারতের বিকল্প হিসেবে মিশর, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া এমনকি বাংলাদেশেও ব্যবসায়িক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। এইসব দেশে তারা মোবাইল উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করছে বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়া দাবি করা হচ্ছে, চীনা কোম্পানিগুলি উক্ত দেশগুলিতে ব্যবসায়িক সক্ষমতা, স্থানীয় নীতি (local policy) ও শ্রমের খরচ হিসাব করছে। পাশাপাশি সেখানকার সরকারের সঙ্গেও তারা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের জন্য চুক্তি করছে। সেক্ষেত্রে যদি শাওমিরা সত্যিই অন্যান্য দেশে উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তরিত করে, তাহলে ভারত ভারী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে!

ভারত ছেড়ে এখন মিশর ব্যবসায়ী ঘাঁটি?

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ওপ্পো, মিশরে ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ইতিমধ্যেই একটি মোবাইল ফোন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ করছে। এই প্ল্যান্টের গড় বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৪.৫ মিলিয়ন। সেক্ষেত্রে এই কারখানা স্থাপন করার পর, সংস্থার উৎপাদন তো বাড়বেই, একইসাথে পরবর্তী ৫ বছরে মিশরে ৯০০টিরও বেশি চাকরির সুযোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।